ক্যালিফোর্নিয়া হামলাকারী নারী পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী
ক্যালিফোর্নিয়া হামলাকারী সন্দেহভাজন তাশফিন মালিক (২৭) পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ‘বিবাহ ভিসা’ নিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে এ ভিসা ইস্যু করা হয়। দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহকারী মুখপাত্র মার্ক টোনার বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, তাশফিন মালিক পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সংগ্রহ করেন।’
তাশফিনের বাবা-মা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী ছিল। স্বামী সৈয়দ রিজওয়ান ফারুকের সঙ্গে মিলে সান বার্নারডিনোর হলিডে পার্টিতে বৃহস্পতিবার গুলি করে ১৪ জনকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় আহত হয় ১৭ জন। পরে পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন দুই হামলাকারীই নিহত হন।
টোনার বলেন, ‘তাশফিন মালিক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ‘কি-১ ভিসা’ সংগ্রহ করেন। এ ভিসা সাধারণ যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন কাউকে দেওয়া হয়। বিয়ের ৯০ দিনের মধ্যে এ ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ থাকে। আর ইসলামাবাদের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাশফিনকে ওই ভিসা দেওয়া হয়।’
ভিসা পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিয়ে অনুষ্ঠিত না হলে কি-১ ভিসার কার্যকারিতা থাকে না। ফারুকের শ্যালক ফারহান খান বলেছেন, তারা দুই বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
লস অ্যাঞ্জেলসের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টর ডেভিড বাউডিচ বলেছেন, ফারুক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আর ২০১২ সালে কথিত কি-১ ভিসা নিয়ে তাশফিন পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
ফারুকের বাবা-মাও পাকিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। ফারুকের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। সে সান বার্নারডিনো কাউন্টিতে পরিবেশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার এই দম্পতি তাদের ছয় মাসের শিশুসন্তানকে বাড়িতে বাবা-মার কাছে রেখে কমান্ডো স্টাইলে সান বার্নারডিনোর ওই হলিডে পার্টিতে গুলি বর্ষণ করে। সান বার্নারডিনোর ওই সেবাকেন্দ্রেই ফারুক কর্মরত ছিলেন।
এদিকে ওই হামলার ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাশফিন ও ফারুক দম্পতির বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে গুলি, একডজন পাইপ বোমা ও কয়েকটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনের এফবিআই কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার জোরালো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় তদন্তে করে দেখা হচ্ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।