- হোম
- >
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
- >
- ড্রোন কেড়ে নিলো শিশুর চোখ
ড্রোন কেড়ে নিলো শিশুর চোখ
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে ড্রোন অন্যতম। কি করা যায় না এই ড্রোন দিয়ে? চার পাখার এই উড়ন্ত যন্ত্রটি ছবি তোলা থেকে শুরু করে পণ্য সরবরাহ পর্যন্ত সব কাজ করতে সক্ষম। এত এত ভালো গুণের মধ্যেও দক্ষতার অভাবে এই ড্রোন কারও জন্য ভয়ঙ্করও হতে পারে। ইংল্যান্ডে ঘটে গেল ড্রোনের ইতিহাসে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। এই ড্রোন কেড়ে নিলো ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর চোখ।
ব্যক্তিগত এবং প্রযুক্তি বান্ধব লোকদের জন্য ড্রোন বেশ উপকারি প্রযুক্তি পণ্য। অস্কার ওয়েব নামে ইংল্যান্ডের ওরচেস্টারশেয়ারে বসবাসরত ১৬ মাসের শিশুর চোখ কেড়ে নিলো এক অপরিচিত ড্রোন। ড্রোনটি পরিচালনা করছিলেন সিমন ইভানস নামের এক ব্যক্তি।
ইভানস ৬০ ফিট উপরে ড্রোনটিকে উড়িয়ে পরিচালনা করছিলেন। হঠাৎ করে ড্রোনটি রিমোট কন্ট্রোল আওতার বাইরে চলে যায়। ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা খায়। তারপর ড্রোনটি অস্কারের চারপাশ্বে ঘুরতে থাকে। হঠাৎ করে ড্রোনটি অস্কারের ডান চোখে আঘাত হানে।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইভান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকে আমি আর ড্রোনকে ওড়াইনি। যখনি আমি ড্রোনটিকে দেখি আমার পেটের ভেতরে গুলিয়ে আসে। আমি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে যাই’
এই দুর্ঘটনা ঘটার ২ পার হয়ে গেলেও শিশুটির চোখের এখনও কোন উন্নতি হয়নি। কৃত্রিম চোখ ব্যবহারের উপযোগী করতেও অস্কারের আরও কয়েকটি অপারেশন দরকার।
দুর্ঘটনাটির পর ইংল্যান্ডের সামাজিক জীবনে একটি প্রশ্ন সবার মনেই দেখা দিয়েছে। বন্ধের দিন গুলোতে ব্যক্তিগত ড্রোনগুলো কি সবার ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত করা উচিত? সন্তানের বাবা মা দের চিন্তায় নতুন খোরাক যোগাবে যে এ ধরণের খেলনা কি সন্তানদের জন্য কেনা উচিত কি না?
অস্কারের দাদি আনিতা রবার্টস দুর্ঘটনার ব্যাপরটি বিবিসিকে জানায়। এবং শিশুদের খেলনা হিসেবে ড্রোনের তীব্র বিরোধিতা করেন আনিতা। ইভান যে কিট বেসড কোয়াড কপ্টার ড্রোন ব্যবহার করেছিলো সেটার প্রপেলার ব্লেডে কোন সুরক্ষা বেস্টনী ছিল না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।