আকাশপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদার নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করনের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। বিমানবন্দরটি নেপাল ও ভুটানের কাছাকাছি হওয়ায় এটি তারা ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দপুর বিমানবন্দরটিকে নেপাল ও ভুটানকে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেছেন। বর্তমানে সৈয়দপুর বিমাবন্দরে গড়ে প্রতিদিন ঢাকার সাথে ৩টি করে সরকারি-বেসরকারি ফ্লাইট চলাচল করছে।

বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ইউএস বাংলা ও বিমান বাংলাদেশ। ফলে বর্তমানে এই সৈয়দপুর থেকে প্রতিদিন সকাল-বিকেলে মিলে ৩টি ফ্লাইট চলাচল করছে। নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় এই বিমানবন্দরে ত্রান সামগ্রী নামিয়ে সড়ক পথে নেপালে পাঠানো হয়। এরপর থেকে নেপাল বিমানবন্দরটি ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করে। এছাড়া ভুটানও আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহিন আহমেদ জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, আনসার নিয়োগ করা হয়। রানওয়ে বৃদ্ধিকরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এলাকা চিহিৃত করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে রানওয়ে সম্প্রসারণ করার প্রক্রিয়া চলছে।

বিমান টিকিটের এজেন্ট মাওয়া ট্রাভেলস-এর মালিক মমিনুল ইসলাম মিঠু জানান, নিয়মিত যাত্রীর কারণে টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। ফলে চাহিদামত যাত্রীদের টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একই কথা বলেন বিমান বাংলাদেশের সৈয়দপুরে একমাত্র টিকিট বিক্রির এজেন্ট সিয়াম এটারপ্রাইজের মহসিন আলী মিঠু।

বিমানবন্দরে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচলের কারণে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জনপদের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা প্রভৃতি জেলার লোকজন দ্রুত ও আরামদায়ক ভ্রমনের জন্য বিমান ব্যবহার করছেন। উত্তরা ইপিজেড, দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানাসহ এই জনপদে দর্শনীয় নানা স্থাপনা থাকায় বিদেশি অতিথিরাও নিয়মিত চলাচল করছেন এই বিমানবন্দর দিয়ে।