- হোম
- >
- ধর্ম ও জীবন
- >
- পীর হত্যার পরিকল্পনা, বনাঞ্চলে প্রশিক্ষণ
পীর হত্যার পরিকল্পনা, বনাঞ্চলে প্রশিক্ষণ
নতুন যে ‘জঙ্গি’ সংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ঢাকার এক পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ ছাড়া তারা প্রশিক্ষণের জন্য গাজীপুরের সাফারি পার্কের আশপাশ এবং চট্টগ্রামের বনাঞ্চল এলাকা বেছে নেয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে, রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর ও সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ‘মুজাহিদ অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন ওই সংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি। তারা হলেন- জহিরুল ইসলাম ওরফে আনসার ওরফে চূড়ান্ত লড়াই ওরফে জহির, খন্দকার রাজেশ সোবাহান ওরফে রাজু ওরফে কাঁচা মরিচ ওরফে আদার ব্যাপারী, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে আবির ওরফে মৌমাছি ওরফে নিয়মের অনিয়ম ওরফে এক টুকরো মেঘ ওরফে সাদা পাতা, আব্রাহাম আহমেদ আল-তারেক, মোরশেদুল ইসলাম ওরফে কিংমোর খান, কাজী বাপ্পি আহমেদ ওরফে সাজ্জাদ ওরফে তারেক বিন জিয়া মোল্লা আক্তার মো. মনসুর।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘জামায়েতে মুজাহিদীন অব বাংলাদেশের (জেএমবি) আদলে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘মুজাহিদ অব বাংলাদেশ’ এর অস্তিত্ব পেয়েছে পুলিশ। তারা ফেসবুক ও অনলাইন মাধ্যম কাজে লাগিয়ে আল-কায়েদাকে অনুসরণ করতো। নতুন এই সংগঠনে মোট ২৫-৩০ সদস্য রয়েছে। তারা মনে করে, বিভিন্ন মাজারের পীররা অনুসারী তৈরি করে শিরক করছে। মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। তাদের হত্যা করাকে ‘জিহাদ’ মনে করছে সংগঠনটি। এরই অংশ হিসেবে তারা রাজধানীর এক পীরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশের তৎপরতার কারণে তিনি এখন নিরাপদ আছেন। তবে আগের কোনো পীর হত্যার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। সেগুলো জেএমবি করেছিল।’’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এ সংগঠন দুই বছর ধরে সংগঠিত হচ্ছে। এর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেন। জীবনযাপনের জন্য বেতনের কিছু টাকা রেখে বাকি টাকা তারা এ কাজে ব্যবহার করতেন। তাদের এক বড় নেতা আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। প্রয়োজনে সেই বড় নেতাকে কারাগার থেকে এনে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
‘কোনো গোয়েন্দা সংস্থা যাতে ফেসবুক আইডি দেখে তাদের কথিত জিহাদের বিষয়টি টের না পায়, সেজন্য তারা অদ্ভূত নামে পেজ খোলে। তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নেতা নেই। সবাই নিজের মতো জিহাদ প্রতিষ্ঠার কাজ করছিল’ বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
জামায়াতে মুজাহিদীন অব বাংলাদেশ (জেএমবি) কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক পায়নি ডিবি। নতুন এ সংগঠন আল-কায়েদার অনুসারী হলেও আল-কায়েদার ভারতীয় উপ-মহাদেশের শাখার (একিউআইএস) সঙ্গে তাদের কোনো নেটওয়ার্ক বা যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, ‘তাদের কার্যক্রম এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এজন্য তাদের বড় অর্থ সংস্থানের প্রয়োজন হয়নি। তারা ছুরি-চাকু চালানো, বর্ষা নিক্ষেপসহ প্রাথমিক ট্রেনিং নিয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় নিয়মিত ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পূর্বে তাদের কেউ অন্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল কি না— তা রিমান্ডে এনে আরও জিঙ্গাসাবাদের পর জানা যাবে।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।