- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- কুড়িগ্রামে মধু উৎসব
কুড়িগ্রামে মধু উৎসব
“মৌ মাছি-মৌ মাছি কোথা যাও নাচি নাচি দাড়াও না একবার ভাই ,ঐ ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই”। কবির ওই কবিতার দৃশ্য এখন কুড়িগ্রামের উত্তর পূর্বাংশে নাগেশ্বরী, উলিপুর, রাজীবপুর, রৌমারী, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার, ধরলা ও ব্রম্মপুত্র নদের অববাহিকার বিস্তৃর্ন জনপদে ঝাকেঝাকে মৌমাছি ও মধু আহরণের ব্যস্ত চিত্র।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শওকত আলী জানান,চলতি মৌসুমে তিন দফা বন্যায় জেলায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাদের পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। সরিষা ক্ষেতগুলো এখন হলুদ রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে। সরিষার ফুল থেকে ঝাকে ঝাকে মৌমাছি মধু আহরণে করছে। এসব মৌমাছি বসত বেঁধেছে নদের তীরবর্তি বিভিন্ন লোক জনের বাড়ির ভিতরে ও গাছের ডালে এবং বিভিন্ন স্থাপনায়। সরেজমিন ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড উড্ডামারী এলাকার সদস্য আইনুল হকের বাড়ীর বারান্ধা ও গাছে ১৫টি, একাব্বর মেম্বারের বাড়ীর সজনির গাছের ডালে ৯টি, খানসামারভিটা মসজিদের চালে ১০টি, ইউনুস মিয়ার আমের গাছে ৮টি সহ অনেক স্থানে সারি সারি চাক বেধেছে।
এছাড়া ঘোগাদহ, যাত্রাপুর, নুনখাওয়া, কালিগঞ্জ এলাকা গুলোতে অসংখ্য মৌচাক দেখা গেছে। এ সব এলাকার মানুষ মৌমাছির উপদ্রপে ভীতু সন্ত্রস্ত হয়ে পরেছে।
আইনুলের স্ত্রী জানান,শোয়ার ঘড়ের দর্রজার সামনে বারান্ধায় মৌমাছি বাসা বেধেছে। ভয়ে ১৯দিন থেকে ওই ঘড়ে কেউ থাকি না। কাশেম আলীর বাড়ীর ভিতরে ছোট্ট বাচ্চা ঢিল ছুড়লে মৌমাছি গৃহকর্তী মঞ্জুরি বেগমকে হূল বসিয়ে আহত করায় তাকে নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া খানসামার ভিটায় ২টি গরুকে হূল বসিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। অপর দিকে ভিতরবন্দের মৌয়ালি (মধু আহরণকারী) একাব্বর আলি মৌমাছির চাক কেটে তিন মন মধু সংগ্রহ করে প্রতি কেজি ৩/৪ শ’ টাকায় বিক্রি করছে। নুনখাওয়ার মৌয়ালী বছির উদ্দিন চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে গ্রামের মানুষকে বিনা পয়সায় খাওয়াচেছ বলে জানান।
দিগদারী গ্রামের কবিরাজ হোসেন আলী বলেন, মৌমাছির মধু আল্লাহ নিয়ামত মানব দেহের জন্য মহাঔষধ। তাই সবারই মধু খাওয়া ও সংরক্ষণ করা উচিত।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।