সিলেটে আলোচিত শিশু আবু সাঈদ (৯) হত্যা মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রবিবার সকাল ১০টায় যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। বিকেলে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালতের বিচারক আবদুর রশিদ সোমবার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।

সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, রবিবার সকাল থেকে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। বিকেলে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন বিচারক। এ মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এর আগে, ১৭ নভেম্বর একই আদালতে এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান, কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিব হোসেন মাসুমের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালত থেকে মামলাটি সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি,তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রদান করেন। গত ৮ নভেম্বর আলোচিত এ মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট আমলে নেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর গত ১৪ মার্চ বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমানের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।