কক্সবাজারে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
কক্সবাজার শহরে ও উখিয়া উপজেলা ষ্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২০টি দোকান ও ৭টি বাড়িঘর ভস্মিভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও আনুমানিক সোয়া ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা। রবিবার সকালে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শহিদুল ইসলাম ও অন্যরা জানান, রবিবার সকালে উখিয়া ষ্টেশনের লোকজন মসজিদ থেকে বেরিয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। তারা তাৎক্ষণিক দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। কিন্তু কক্সবাজার শহর থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা পৌছাতে ঘন্টাখানেক সময় নেয়। এরই মাঝে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। প্রায় দেড় ঘন্টার অগ্নিকাণ্ডে ১০টির মত মুদি ও টেইলারিং দোকান, ৮টি কাঁচামালের দোকান ও এক সাংবাদিকের বাড়িসহ ৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কোন দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা জানা না গেলেও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কক্সবাজার দমকল বাহিনীর ইনচার্জ আবদুল মজিদ অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিউদ্দিন, সহকারি পুলিশ সুপার (উখিয়া-রামু সার্কেল) আবদুল মালেক মিয়া, ওসি হাবিবুর রহমান, বাজার সেক্রেটারি রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনা স্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজেদের সম্পৃক্ত করেন।
উখিয়া বাজার সেক্রেটারি রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে আশরাফ আলী, খোরশেদ আলম, মিঠু রুদ্র, ফরিদুল আলম, তিলকপাল, মিজান, বিমল, ছুরত আলম, শ্যামল দাশ, কামাল উদ্দিন, শাহজাহান, আবুল হোসেন, মিঠু বিশ্বাস ও অমল বিশ্বাসের দোকান ও উজ্জল, কেন্দ্রীয় তাতীলীগ নেত্রী সাধণা দাশ গুপ্ত, শ্যামল দাশ, রাজীব সেন, গোপাল বিশ্বাস ও মিঠু বিশ্বাসের বসত ঘর মালামালসহ পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা গেছে।
খবর পেয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ছেনুয়ারা বেগমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ সাড়ে ১০ টার দিকে অগ্নিকাণ্ড স্থল পরিদর্শনে যান।
অপরদিকে, কক্সবাজার শহরের এন্ডারসন রোড়ের গুলজার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এক কাপড়ের গোডাউন আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বেলা সাড়ে ৯ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ঘন্টা খানেকের অগ্নকাণ্ডে গোডাউনের উপর তলার কয়েকটি ভাড়া বাসার কাচসহ নানা আসবাবও আগুনের লেলিহান শিখার কবলে পড়ে। আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে নীচতলার ২০-২৫টি দোকানের কাপড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে উখিয়া থেকে ফিরে দমকল বাহিনীর লোকজন পৌনে এগারটার দিকে আগুন পুরোপুরী নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতেও প্রায় সোয়া কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংবাদপত্র এজেন্ট সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ক্ষতিগ্রস্ত বাসার ফ্লাট মালিক মোহাম্মদ হাসিম।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।