চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, প্রফেসর রওশন আখতার হানিফ অনেক শিক্ষকের শিক্ষক। নারী শিক্ষার প্রসারে তার অবদান শুধু চট্টগ্রাম নয় উপমহাদেশে অন্যতম। অনেক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যেও তিনি চট্টগ্রাম কলেজকে খুব সুন্দরভাবে চালিয়ে নিয়েছেন। চট্টগ্রামে এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি রাত-দিন কাজ করেছেন। আমাকে উপাচার্য করে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন বিভাগ ও ফ্যাকাল্টি সিলেবাসও করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিংহভাগ কাজ শেষ করেও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। এটি প্রতিষ্ঠা করা ছিল প্রফেসর হানিফের স্বপ্ন।

গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এবং মাসিক চাটগাঁ ডাইজেস্টের সাবেক প্রধান সম্পাদক প্রফেসর রওশন আখতার হানিফের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, অধ্যাপক রওশন আখতার হানিফ নারীশিক্ষা বিস্তার, প্রগতি ও সামগ্রিক কল্যাণের কথা ভেবেছেন। নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে আমৃত্যু কাজ করেছেন। রওশন আখতার নিজের নামের মতো আলো ছড়িয়েছেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রফেসর হানিফের ছোট ভাই ডা. মাহমুদ এ চৌধুরী আরজু, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জেসমিন আক্তার, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ এস এম ফজলুল করিম, প্রাক্তন যুগ্ম সচিব ও চাটগাঁ ডাইজেস্টের নবনিযুক্ত প্রধান সম্পাদক ড. জয়নাব বেগম, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া ও জেমস ফিনলে বিডি লি. এর চিফ এক্সিকিউটিভ এ কিউ আই চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, প্রফেসর রওশন অত্যন্ত পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। নারী উন্নয়নের কথা বেশি ভাবতেন। এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ চট্টগ্রামের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান আছে রওশন আখতার ও তার পিতা বাদশা মিয়া চৌধুরীর। এই পরিবারের সদস্যরাও সমাজের উন্নয়নে কাজ করছেন।