কক্সবাজারের পেকুয়ায় স্থাপিত হচ্ছে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র। আগামী বছর মার্চ মাসের দিকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রায় ১৫৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১৪শ মেগওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সমিক্ষা অব্যহত রয়েছে। ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন লিমিটেড এর পক্ষে গত ২৬ নভেম্বর বৃহঃপতিবার দুপুরে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি টিম করিয়ারদিয়া পরিদর্শন করেছেন।

সূত্র জানায় , খনিজ কয়লা দিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়াকে বাচাই করা হয়েছে। এ লক্ষে গত ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যুত পরিবেশ ও জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে সমিক্ষা শুরু হয়েছে। মাতারবাড়ি চ্যানেলের অদুবর্তী স্থান হওয়ায় করিয়ারদিয়াকে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সর্বত্তোম এলাকা হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন নামে একটি ব্যক্তি মালিকানাধিন কোম্পানি ওই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

জায়গা নির্বাচনে ছয় সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিয়েছেন ওই কোম্পানির পরিবেশবিষয়ক কর্মকর্তা ড. হুমায়ন কবির। এ সময় তার ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ছাড়াও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেল যুবলীগ সহ-সভাপতি জিয়াবুল হক জিকু, ইউপি সদস্য সিরাজুল মোস্তফা, সাবেক মেম্বার জাফর আলম প্রমুখ।

ড. হুমায়ন কবির জানান, বিদ্যুত কেন্দ্র এর জন্য পিজিবিলিটি চলছে। তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে এখানে একটি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তবে সার্বিক বিষয়টি অত্যন্ত অনুধাবন করা হবে। যাতে করে পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুত উৎপাদন কিভাবে হওয়া যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খান জানান, করিয়ারদিয়ায় বিদ্যুত কেন্দ্র হবে সেটি একপ্রকার নিশ্চিত হওয়া গেছে। আমরা চেষ্টা করব একটি বাসযোগ্য বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য। যাতে এর বিরুপ প্রভাব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম এর উপর না পড়ে।