- হোম
- >
- বায়োগ্রাফি
- >
- ইতিহাস ঐতিহ্য ভরপুর তাড়াশে ঘুরে আসুন
ইতিহাস ঐতিহ্য ভরপুর তাড়াশে ঘুরে আসুন
এই ব্যস্ত নগর জীবন থেকে নিজেকে একটু সস্থি দিতে ঘুরে আসুন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থেকে।
দর্শনীয় স্থানের অভাব নেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ স্থানগুলো হলো-রাধা গোবিন্দ মন্দির, শীব মন্দির, মথুরা দিঘী, বড় কুঞ্জবন, উলিপুরের দিঘী, শিশু পার্ক, বৌদ্ধ বিহার। এগুলো স্থান ঘুরে বেড়ানো বা ভ্রমণের জন্য খুব ভালো।
শরৎ এর শেষের দিকে শুরু হয় দুর্গাপুজা। তখন এখানকার গোবীন্দ মন্দিরে বাজে অবিরাম ঢাক-ঢোল, আকাশে ওরে রঙ্গিন ফানুষ। কীর্তনে পুরো এলাকার আকাশ-বাতাস মাতিয়ে রাখে। আর তাড়াশে চারিদিকে ফুটে থাকে কত না কাশফুল।
তাড়াশে বেড়াতে এসে জানা যাবে এখানকার বিখ্যাত কপ্লিশ্বের শীব মন্দির, দেবী মন্দির, বাসুদেব ও গোপীনাথ বিগ্রহের মন্দির এর কাহিনি। এখানকার রাজ বংশের পুর্ব পুরুষ বলরাম প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি মন্দির, থানা রোডে কুঞ্জবন নামক সর্ববৃহৎ জলাশয় ও তাড়াশের রাজবাড়ীর ধ্বংসবশেষ প্রাচীন কীর্তির নিদর্শন।
তাড়াশে ভগ্নপ্রায় জোরবাঙ্গালার গায়ে ১৬৬১ খিস্টাব্দের খোদিত লিপি থেকে জানা যায়, এখানকার গোপীনাথ বিগ্রহের সেবায়েত ছিলেন নাগবংশীয় কায়স্থ। এই তাড়াশের বিনোদ রায়, গোবীন্দজী, রশিক রায়, কপিলেশ্বর শিব প্রভৃতি যে কয়েকটি বিগ্রহের মন্দির রয়েছে, এর মধ্যে কপিলেশ্বর ও গোবীন্দ মন্দির অন্যতম।
আর এসব দেখতে দেখতেই এক নিমিষেই ফিরে যাবেন অতীত যুগে। তখন স্মৃতিতে ভেসে উঠবে হয়তোবা পুজা পার্বণের সেই পুরোনো দিনগুলোর কথা। এখানকার প্রতিটি মন্দিরের গায়ে রয়েছে অপরুপ কারুকাজ। প্রাচীনকালে ক্ষুদ্র ইট দিয়ে এসব মন্দির তৈরি হয়েছিল।
আরেকটি বিষয় হলো চলনবিলের তাড়াশে গিয়ে কৌতুহল জাগবে তাড়াশের নামকরণ নিয়ে যে কিভাবে তাড়াশ নামটি নামকরন হলো- এক সময় তাড়াশের নাম শুনেই মনে ত্রাস বা তরাসের সৃষ্টি হতো। অনেকে ধারণা করেন, তরাস শব্দ থেকে তাড়াশ নামের উৎপত্তি হয়েছে। তাড়াশের পাশে (প্রাচীন কালের নাম ছিল চান্দেরগাও) বর্তমানে বিনসাড়া গ্রাম। রিক্সাভ্যান করে যেতে পারেন সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।
সেখানে গেলে দেখতে পাবেন বাংলার কিংবদন্তী বেহুলা সুন্দরীর বাবা বাছো বানিয়া ওরফে সায় সওদাগরের বাস ছিল তার স্মৃতিময় কালের স্বাক্ষী কিছু স্থান। সেখানে গিয়ে কয়েকটি কুপ দেখা যাবে। একটি কুপের নাম জীয়ন কুপ। এই কুপটি দেখতে বড় অদ্ভুত বড় বড় ইটের গাথুনী দিয়ে নির্মিত। যার একটি কুপের মধ্যে আরো ৩ টি কুপ।
ওখানে গিয়ে লোকমুখে আরো জানা যাবে বাছোবানীয়া ছিলেন মনসা পুজারী। দুধ পুকুর নামে তার একটি পুকুর ছিল। পুকুরটি নাকি সাপদের জন্য দুধে ভর্তি থাকতো। এখনো আছে সেই পুকুর কিন্তু সেখানে দুধও নেই সাপ নেই।
আসবেন যেভাবে-
ঢাকা থেকে সড়কপথে বিভিন্ন বাসে বা যানবাহণে তাড়াশ যেতে হবে। রাজশাহীগামী লোকাল বা গেইটলক গাড়ীতে চড়ে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের মহিষলুটিতে নামতে হবে। মহিষলুটি থেকে তাড়াশের দুরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার। ভ্যানযোগে ভাড়া জনপ্রতি ১৫টাকা করে নেবে। আর ঢাকা থেকে মহিষলুটি জনপ্রতি বাস ভাড়া নেবে ৩৭০ টাকা ও রাজশাহী থেকে ভাড়া নেবে ১৫০ টাকা করে।
থাকার ব্যবস্থা-
তাড়াশে রাত্রীযাপন করার জন্য তাড়াশ থানার সামনেই রয়েছে ডাকবাংলো। এক কক্ষে ২ সিটে ভাড়া ৩০০ টাকা করে। এ ছাড়া রয়েছে গণ কল্যান রির্সোট সেন্টার, ব্রাক এনজিও’র রেস্ট হাউজসহ সরকারি গেস্ট হাউজ। যেসব গেস্ট হাউজে থাকবেন সেখানে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আবার তাড়াশে খুব সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্ট আছে সে সকল রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেতে পারবেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।