যশোরে সদরের লেবুতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবকুমার ঘোষকে হাসপাতালে চিকিৎসাধী থাকা অবস্থায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ। এবিষয়ে তদন্ত করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে ২৪ নভেম্বর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীর সহধর্মিনী সপ্তমী রাণী ঘোষ।

শুক্রবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লেবুতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাধন কুমার ঘোষ।

লিখিত বক্তব্যে সাধন কুমার ঘোষ বলেন, ২১ নভেম্বর রাতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তরিকুল ইসলাম নয়নকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নবকুমার, তার ভাইপো রাজকুমার এবং এলাকার সাদ্দামের নামে ‘মিথ্যা’ মামলা করা হয়। অথচ গত ৫ নভেম্বর নবকুমার অসুস্থ হয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ১৭দিন চিকিৎসা শেষে ২২ নভেম্বর দুপুর আড়াইটায় ছাড়পত্র পান। ওই দিন বিকেলে বাড়ি ফিরলে রাতে তাকে আটক করে পুলিশ লাইনে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নবকুমার ঘোষ আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সাম্ভাব্য প্রার্থী। তার ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ ও নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য পুলিশকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয়কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, ঘটনার একদিন পর হাসপাতালে ১৭দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরা লোকটিকে আটক করা হয়। আটকের একদিন পর উদ্দেশ্যেমূলকভাবে নবকুমার ঘোষ ও তার ভাইপোকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়েছে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।

মামলার সাক্ষী মোবারক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হামলাকারীরা অন্ধকারের মধ্যে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের চিনতে পারিনি। আর আমাকে সাক্ষী করা হয়েছে, সেটি জানি না।

সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার খাঁ, কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার খাঁ, প্রাক্তন মেম্বার আতর আলীসহ ভুক্তভোগীর স্বজনরা প্রমুখ।

এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার আক্কাছ আলী বলেন, গুলিবিদ্ধের ঘটনায় নবকুমারের নামে মামলা হয়। নবকুমারের সম্পৃক্ততা না থাকলে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হবে।