‘ব্ল্যাক’ নিয়ে মিমের কথপোকথন
বিদ্যা সিনহা সাহা মিম সাত সকালেই ২০ লাখ টাকা মূল্যের ঘড়িটা পরলেন। চমকাতে হলো দাম শুনে। প্রশ্ন এখন দুটি- কিনেছেন? এতো দামি ঘড়ি কেনো? তিনি জানালেন, এবারের জন্মদিনে মা (ছবি সাহা) উপহার দিয়েছেন। তার মা জীবনেও তাকে এতো দামি উপহার দেননি! মা আমাকে বুঝতে দেননি আমার জন্য উপহারটা কিনছেন। আগেভাগে জানতে পারলে কিনতে দিতাম না। এতো দাম দিয়ে এই ছোট্ট একটা জিনিস কেউ কেনে!
এরপর 'আসছি' বলে ভেতরে গেলেন মিম। সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর নিকেতনে তার বসার ঘরে ঢুকতেই চোখে পড়লো বড় বড় ছবি। সবটাতেই আছেন মিম। কোনোটিতে তিনি একা, কোনোটিতে আবার পরিবারের সঙ্গে।
কিছুক্ষণ পরে সেজেছেন কালো রঙা শাড়িতে। ডেকে নিয়ে গেলেন ড্রইনিং রুমে গান দেখাবেন বলে। কলকাতার সংগীত বাংলা চ্যানেলে। এই গানের ভিডিও ইউটিউবে আট লাখ বারেরও বেশি দেখা হয়েছে। এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে,‘ব্ল্যাক’আলোড়ন ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি।
গান দেখতে দেখতে মিম বললেন, সংগীত বাংলা চ্যানেলে সাধারণত শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ছবির গান না হলে প্রচার হয় না। কিন্তু রাজাদা (পরিচালক রাজা চন্দ) আর সোহমের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সুসম্পর্ক আছে। দু’জনে ভেঙ্কটেশের একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। তাছাড়া গানগুলোও ভালো সাড়া ফেলেছে। তাই ‘ব্ল্যাক’কে এড়াতে পারেন চ্যানেলটি। তাদের সুবাদে গানগুলো আরও বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বসার ঘরের এক কোণে মিমের পাওয়া বিভিন্ন পুরস্কারের শোকেস। আশেপাশে কয়েকটা শোপিসও চোখে পড়লো। সেগুলোতে চাকচিক্য নেই। কিন্তু অভিজাত। ‘ব্ল্যাক’একটি অ্যাকশন-রোমান্টিক ছবি। বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে বিলটু থেকে বুলেটে রূপান্তর হয়ে যায় একজন মানুষ। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহম। আমার চরিত্রটিও বুলেটের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়েটিও একটা সময় প্রতিশোধ নিতে বেরোয়।’
‘ব্ল্যাক’ নিয়ে মিম এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন, ‘এটা রাজাদার মাথা থেকেই বেরিয়েছে। তিনিই সাজিয়েছেন এই মৌলিক গল্পের আদল। ছবিটা পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার। নতুন আঙ্গিকে বানিয়েছেন রাজাদা। আমার তো মনে হয়, সবারই ভালো লাগবে এটি।’
আগামী ২৭ নভেম্বর ‘ব্ল্যাক’ কলকাতায় মুক্তি পাচ্ছে। একই দিনে বাংলাদেশেও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রচারণার সময় না পাওয়ায় তা পেছাতে হয়েছে প্রযোজক কিবরিয়া ফিল্মসকে। আশা করা হচ্ছে, আগামী মাসেই বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ছবিটি।
এই আড্ডার আগের দিন রাতে ইউটিউবে উঠেছে ছবিটির আরেক গান ‘কোনো এক নীলচে পরী’। এর চিত্রায়ন হয়েছে কক্সবাজারে। তখন অবিরাম বৃষ্টি ঝরছিলো। বিপদ সংকেতও চলছিলো। ‘এ কারণে আমাদেরকে তিন দিন বেকার বসে থাকতে হয়েছে হোটেল সায়মনে। শেষমেষ সুন্দরভাবেই কাজটা সম্পন্ন হয়েছে।’
ভিডিওটা দেখিয়ে নামলেন নিচে। শারীরিক গড়নটা এখনও আয়ত্ত্বে রেখেছেন মিম। জিম করেন নাকি? ‘আমি আরও শুকনা ছিলাম। ‘ব্ল্যাক’-এর কাজ করতে গিয়ে দুই মাস জিমে ঢোকা হয়নি। তবে আবার শুরু করবো।’
‘ব্ল্যাক’ নতুন নতুন অনেক কিছু ঘটিয়েছে মিমের জীবনে। হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’, জাকির হোসেন রাজুর ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘জোনাকীর আলো’, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ‘তারকাঁটা’, তন্ময় তানসেনের ‘পদ্ম পাতার জল’, ওয়াজেদ আলি সুমনের ‘সুইটহার্ট’ (মুক্তি পায়নি), তানিয়া আহমেদের ‘গুডমর্নিং লন্ডন’ (মুক্তি পায়নি) ছবির পর এবারই প্রথম যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রে কাজ করলেন।
বিদেশি নায়কের সঙ্গেও এটা মিমের প্রথম অভিনয়। সোহম তো ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেই দিয়েছেন, ‘মিম চমৎকার একজন সহশিল্পী।’ এবারই প্রথম নিজের দেশের আগে অন্য দেশে তার অভিনীত ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তাই এক ধরনের উত্তেজনা আর স্নায়ুচাপের শরবত খাওয়ার অনুভূতি হচ্ছে মিমের। এটা শুধু তিনিই বুঝতে পারছেন!
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।