বিলুপ্ত ছিটবাসীর চতুর্থ দফায় ১০৫ জনের ভারত গমন
নীলফামারীর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি অভিবাসন সীমান্ত পথে বিলুপ্ত ছিটবাসীর চতুর্থ বা শেষ দফায় ১০৫ জন সদস্যকে বরণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনমন্ত্রী বিনয় কুমার।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলার দখলা খাগড়াবাড়ি ও দইখাতা ছিটের ২১ পরিবারের ওই ১০৫ জন সদস্য তিনটি বাসে ও চারটি ট্রাকে মালামাল নিয়ে ভারত গমন করে। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৯ জন, নারী ৩০ জন ও শিশু ৩৬ জন ছিল। এই পথে শেষ দফায় ১০৮ জনের তালিকা থাকলেও জমি বিক্রি করতে না পারায় যেতে পারেননি এদের তিনজন। তবে একই কারণে যেতে না পারা আরো ৩১ জন ভারত যাবে রির্জাভ ডে হিসাবে আগামী ৩০ নভেম্বর লালমনিরহাটের বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে।
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত পথ দিয়ে চতুর্থ বা শেষ দলটি বরণে ও বিদায় জানাতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কুচবিহারের এডিএম আয়শা রানী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারী রমা কান্ত গুপ্ত, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বনমন্ত্রী বিনয় কুমার বলেন, মাঝে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও আমরা বাঙালী। তাই বাঙালী হয়ে বাঙালীর দুঃখ বুঝি। দুই বাংলার সর্ম্পক এখন অনেক গভীর। এই গভীরতা নিয়ে আমরা একে অপরের সহযোগীতায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
একটি সময় লাল-সবুজের পতাকা তলের বাংলাদেশে ওদের বেড়ে উঠা ছিল। সেই মানুষগুলোর চলে গেল। এরা সকলে পঞ্চগড় জেলা অভ্যান্তরে থাকা ৩৬ বিলুপ্ত ভারতীয় ছিটের মধ্যে ১১টি ছিটের বাসিন্দা ছিলেন। এর আগে এই সীমান্ত পথে গত ২২-২৩ ও ২৪ নভেম্বর তিন দফায় ভারত গমন করেছিল ৭২ পরিবারের ৩৪৭ জন সদস্য। শেষ দফা মিলে এই সীমান্ত পথে মোট ৪৫২ জন ভারত গমন করলো।
ভারত গমনের আগে এই সীমান্ত পথে শেষ বা চতুর্থ দফায় যারা ভারত গেলেন তাদের বুধবার দেবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে জড়ো করা হয়। সেখানে কাষ্টমসের কাজ শেষে রাত্রিযাপনের পর বৃহস্পতিবার সকালে তারা তিনটি বাস ও চারটি ট্রাকে মালামাল নিয়ে সকাল ১০টায় আসে পূর্বের ন্যায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়াস্থ্য আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে। এখানে তাদের ইমিগ্রেশন শেষ হবার পর দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে দেওয়া হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।