তাজিয়া মিছিলে হামলার রহস্য উন্মোচনের দাবি পুলিশের
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে বলে দাবি করেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি আটককৃতরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যে। আটককৃতরা হলেন, মানিক, শাহজালাল, হাফেজ মাহমুদ, চান মিয়া ও রাশেদ।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, বোমা হামলায় মোট পাঁচজন অংশ নেয়। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী শাহাদাত জেএমবির মিলিটারি আমির। তিনি সুইসাইড স্কোয়াডের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানান তিনি।
মনিরুল ইসলাম আরও জানান, গাবতলী দ্বীপনগর বালুর মাঠ এলাকায় বুধবার (২৫ নভেম্বর) গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে শাহাদাত ওরফে আলবানি ও তার সদস্যদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে শাহাদাত গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ আবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের ওপর হামলা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্যে। তাই তারা মোহাম্মদপুরে বাড়ি ভাড়া নেয়। পরে শিয়া সম্প্রদায়ের মূল মিলনস্থল পুরান ঢাকার হোসেনি দালান হবে জেনে তারা হামলার স্থান পরিবর্তন করে।
ঘটনার দিন তারা হোসেনি দালান এলাকায় অবস্থান নেয়। শাহাদাত, কবিরসহ ঘটনাস্থলে পাঁচজনই উপস্থিত ছিলেন। তারা হোসেনি দালানের পাশে অবস্থিত কবরস্থানের ভেতর থেকে পাঁচটি গ্রেনেডগুলো ছোড়ে। কবির জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য।
ওই ঘটনায় অংশগ্রহণকৃত পাঁচজনের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকি তিনজনকে এখনো আটক করা যায়নি।
পুলিশ আরও জানায়, ২১ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে তারা গাজীপুরের শালবন এলাকা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঢাকায় এসেছিল। পথে গাবতলীতে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। আশুলিয়ায় শিল্প পুলিশের কনস্টেবল মুকুল হোসেনকেও হত্যা করেন শাহাদাত। সে সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিল, হত্যার পর হত্যাকারীদের একজন তাদের কাছে পানি পান করতে চান। তার দুই হাতে ঘা ছিল। নিহত শাহাদাত ওরফে আলবানির দুই হাতে সেই ঘায়ের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। আশুলিয়ার ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায়ও শাহাদাত জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রাক্তন চেয়ারম্যান খিজির খানের গলায় চাকু চালিয়েছিল শাহাদাত।
পুলিশের ভাষ্যমতে, এটি ছিল গেরিলা চাকু। এই গ্রুপটি নতুনভাবে সংগঠিত হয় এ বছরের শুরুতে। অস্ত্র ক্রয়ের জন্যই তারা খিজির খানকে হত্যা করে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।