প্রিন্সিপালকে ফাঁসাতে বিশিষ্টজনদের হত্যার হুমকি
আব্দুল হকের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। তিনি জকিগঞ্জের শাহবাগ এলাকার জমিয়াতুল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি দুঃশ্চরিত্রের মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। চরিত্রহীন কার্মকাণ্ডের কারণে তাকে মাদ্রাসার চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তার বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চরিত্রহীন কাজের খোলস উন্মোচন করেন আব্দুল হকের দুই বন্ধু সিলেটের বেসরকারি লিডিং বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী ফায়জুর রহমান ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েরে শিক্ষার্থী সালেহ আহম্মেদ ফুয়াদ। সেই সঙ্গে জমিয়াতুল মাদ্রাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল মাওলানা সাদ উল্লাহ সাদও তার কুকর্মের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। ফলে আব্দুল হক চাকরিচ্যুত হন।
আর তাই এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ‘স্পুফিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার দুই বন্ধু ও মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালকে ফাঁসাতে বিশিষ্টজন হত্যার হুমকি দেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, আব্দুল হক তার শত্রুদের ফাঁসাতে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও মুনতাসির মামুনসহ দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের হত্যার হুমকি দেন। বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি দেশের বিশিষ্টজন ও রাজনীতিবিদদের হত্যার হুমকির ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করি। তদন্তে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হত্যার হুমকির বিষয়টি নিশ্চত হওয়া যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে জামায়াত কর্মী আব্দুল হককে (২৬) আটক করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।