পাচার সন্দেহে সৌদিগামী ২০ নারী আটক
চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানাধীন সিটি গেইট এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে পাচার সন্দেহে সৌদিগামী ২০ নারীকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে ট্র্যাভেল এজেন্সি আলিফ ওভারসিজের মালিক কবির আহমদকেও। পরে পুলিশ পাহারায় তাদেরকে বাসে করে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নগরীর আকবর শাহ থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ জানান, ওই ২০ নারীকে পাচারের সন্দেহে আটকের বিষয়টি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশকে জানানো হয়েছে। তাদেরকে অবৈধভাবে সৌদিআরবে পাঠানো হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। অবৈধ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটককৃত নারীরা সবাই কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে কক্সবাজার থেকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে আনা হয়। হোটেলে রাতযাপনের পর মঙ্গলবার ভোরে তাদেরকে নিয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। রাত আড়াইটায় সৌদি আরবগামী বিমানে তাদের সিট বুকিং আছে। আটকের পর ওই নারীরা জানিয়েছেন, গৃহকর্মীর ভিসা নিয়ে তারা সৌদি আরব যাচ্ছেন।
তাদের ভিসার ব্যবস্থা করেছেন আলিফ ওভারসিজের মালিক কবির আহমেদ। এ সময় কবির আহমেদের কাছে ভিসা এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি অধিকাংশ ভিসার মহৃল কাগজ পুলিশকে দেখাতে পারেননি। এতে পুলিশের মধ্যে নারী পাচারের বিষয়ে সন্দেহ হয়। এ খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে আকবর শাহ থানায় যান সিএমপি কমিশনার মোহাঃ আবদুল জলিল মন্ডল। তিনি ভিসা এবং আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদেরকে পুলিশ পাহারায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানোর নির্দেশ দেন।নারীকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে আটক করা হয়েছে ট্র্যাভেল এজেন্সি আলিফ ওভারসিজের মালিক কবির আহমদকেও। পরে পুলিশ পাহারায় তাদেরকে বাসে করে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পাঠানো হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।