আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস আজ
আজ বুধবার ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য এলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন’ বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। একই সাথে আজ থেকেই আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষেরও শুরু। ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত পৃথিবীর দেশে দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ পক্ষ পালিত হবে।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারীর উপর যৌন নির্যাতন: প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ গড়ুন।’
নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটিকে স্বীকৃতি দেয়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদযাপন কমিটি ১৯৯৭ সাল থেকে এই দিবস ও পক্ষ পালন করছে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ-২০১৫ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংগঠন র্যালি, আলোচনা সভা, নাটকসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
ঘরে-বাইরে যৌন নির্যাতনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয় নারীরা । নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকির কারণে তাদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। নির্যাতনের কারণে নারীর স্বাভাবিক বিকাশও ব্যাহত হয়।নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ও নারীর সমান অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালন করা হয়
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মূলধারার জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য সমন্বয় করে তৈরি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দেশে ২৪ হাজার ৬৩১টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত নির্যাতনের ঘটনা চার হাজার ১৪৬টি।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগে আজ বিকেল পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়ক দ্বীপে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা হবে। নারীপক্ষ ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে আজ বিকেল চারটায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।