মাজরা পোকায় খেয়ে ফেলেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকল এলাকার প্রায় ৪শ বিঘা জমির আখ। বাজারের ঔষধ ও চিনিকল কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা কীটনাশকে কোন কাজ না হওয়ায় সতীতলা ও পুনতাইড় ব্লকের জমির আখ মরে গেছে। এই এলাকার আখের জমির দিকে তাকালে চোখে পড়ে মাঠের পর মাঠ শুধু বিবর্ণ মরা দণ্ডায়মান আখ ক্ষেত। অর্থ ব্যয় করে দীর্ঘ মেয়াদী এ ফসল আবাদ করলেও এখন পোকায় খেয়ে ফেলা মাঠ ভরা মরা আখ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে রংপুর চিনিকলের বিভিন্ন এলাকায় এবার ৩ হাজার ৮শ ৮২ একর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও চিনিকলের পরিসংখ্যানে চিনিকল স্থাপিত হওয়ার পর এবারই প্রথম এত কম পরিমান চাষ হয়েছে। কম জমিতে আখ চাষ হলেও আখের ফলন হয়েছে ভালো। তবে চিনিকল এলাকার পুনতাইর ও সতিতলা ব্লকের চাষ করা আখে ব্যাপক ভাবে পোকা ও রোগবালাই আক্রাত হয়ে আখের ক্ষেত মারা যাচ্ছে। ক্ষেতের পর ক্ষেত আখ মরে শুকিয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির শিকার হচ্ছে চাষিরা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার একাধিক আখচাষীরা জানান, দায়িত্বরত চিনিকলের ইক্ষু উন্নয়ন সহকারীর সাথে যোগাযোগ করে তার দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী এবং তার সরবরাহ করা কীটনাশক আক্রান্ত জমিতে প্রয়োগ করা হলেও তাতেও কোন ফল হয়নি।

মাত্র দুই সাপ্তহের মধ্যে এসব এলাকার প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির আখ পোকা ও রোগবালাইয়ে মরে যায়। আর মাত্র এক মাস পরেই যেখানে এই আখ চিনিকলের সরবরাহ করে টাকা পাওয়ার কথা ছিল ঠিক তার পূর্বমূহুর্তে আখ মারা যাওয়ায় এই এলাকার কৃষকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

পুনতাই গ্রামের অনেক চাষী জানান, মরা আখ কেটে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহারের জন্য বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। একমাত্র অর্থকারী ফসল আখের এই দুরাবস্থায় হতাশায় আখচাষীরা। এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সহযোগিতা চান চিনিকল কর্তৃপক্ষের নিকট সেই সাথে দ্রুত চিনিকল চালুর দাবি জানিয়েছেন তারা।

রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল খালেক বলেন, পোকা আক্রান্ত এলাকায় বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক প্রয়োগসহ পোকা ও রোগ বালাই প্রতিরোধে নানা ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত কোন কিছুতেই কাজ হয়নি। এটা এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ।