৫ বছর পর স্কুলে যাবে কাজলী
৮ বছর বয়সে মাকে হারায় কাজলী বাসকী। বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় তার মায়ের। এরপরেই পরিবারে আসে সৎ মা। সঙ্গে সংসারের অভাব-অনাটন। বন্ধ হয়ে যায় কাজলী বাসকীর লেখাপড়া। ৩য় শ্রেণিতে পড়েই সমাপ্তি। বাবা ভট্টু বাসকী (৪৫) সামান্য কিছু আয় করেন।
পরিবারকে সহযোগিতা করতে কাজলী বাসকীকে নামতে হয় কাজে। খাতা-কলম ফেলে দিয়ে দু’মুঠো খাবার যোগাড় করতে কাস্তে বা হাঁসুয়া হাতে তাকে ঘুরে বেড়াতে হতো মাঠে-ঘাটে। খাড়ি ও ডাঙ্গার পাড়ে কাঁশফুলের গাছ কেটে তা শুকিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করতো।
লেখাপড়া শিখে বড় হয়ে সেবিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখতো কাজলী বাসকী। অভাবের গ্রাসে তার সেই স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছিল। দীর্ঘ ৫ বছর পর আবার তার স্কুলে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তানোর সাহিত্য পরিষদ।
কাজলী বাসকীর স্বপ্ন পূরণে সম্প্রতি তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে তার হাতে শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক-পরিচ্ছেদ তুলে দিয়েছেন পরিষদের উপদেষ্টা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা। এখন থেকে কাজলী বসকীর লেখাপড়ার সমস্ত খরচ বহন করবে তানোর সাহিত্য পরিষদ।
ভট্টু বাসকী জানান, সংসারে অভাব-অনটনের কারণে ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও কাজলী বসকীর লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি। কারণ, একার আয় দিয়ে পরিবারের সবার ভাত-কাপড় যোগাড় করা অসম্ভব ছিলো। তাই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতাম।
তবে এখন মেয়েটিকে আর আমার সঙ্গে কাজে যেতে হবে না। এখন থেকে সে অন্য ছেলে-মেয়েদের মত স্কুলে যাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।