আগৈলঝাড়ায় বহিরাগত কর্মচারী হাসপাতালে নবজাতক বিক্রি
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হাসপাতালে বহিরাগত এক কর্মচারীর সহযোগিতায় নবজাতককে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
হাসপাতাল ও প্রসূতি সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যার হাসপাতালে বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হয় আস্কর গ্রামের সভারঞ্জন সাহার স্ত্রী পার্বতী রাণী। বিকেলে পার্বতী ৪র্থ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান জন্মের কিছু সময় পর পার্বতীর ননদ বাসনা রাণী বাড়িতে মেয়ে জন্মগ্রহণের ঘটনা ফোনে তার মা (পার্বতীর শ্বাশুরী) লক্ষ্মী সাহাকে জানায়।
হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী বিথীকা তপাদারের পরিবর্তে বহিরাগত অপর কর্মচারী গৈলা গ্রামের ইসমাইল সরদারের স্ত্রী ফাহিমা বেগম নবজাতক কন্যা সন্তানকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে বলে সভারঞ্জন সাহাকে জানান।
ফাহিমার কথানুযায়ী হাসপাতালের সামনে সন্যামত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নাজমুলের সহযোগিতায় সেরালের জনৈক ব্যক্তির কাছে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। রাতে অসুস্থ প্রসূতি মায়ের কাছ থেকে নবজাতককে চুরি করে সভারঞ্জন ফাহিমার হাতে তুলে দেয়। ফাহিমা ক্রেতার কাছে নবজাতক হস্তান্তরের সময় ওই নবজাতকের মামা রমেন সরকার দেখে ফেলে বাচ্চা বিক্রির প্রতিবাদ করেন। এ সময় সভারঞ্জন তার শ্যালক রমেনকে লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বখতিয়ার আল-মামুনসহ অন্যরা জানতে পেরে নবজাতককে উদ্ধার করে তার মা পার্বতীর কোলে তুলে দেয়। ঘটনার পর থেকে সভারঞ্জন পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের এএসআই পরেশ রাতেই হাসপাতালে গিয়ে গৃহবধূ পার্বতীর সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. সেলিম মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্টাফদের সহায়তায়ই নবজাতক চুরির হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। এ ঘটনায় ফাহিমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।