- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- বান্দরবানে কমলার বাম্পার ফলন
বান্দরবানে কমলার বাম্পার ফলন
বান্দরবান পার্বত্য জেলার পাহাড়ে পাহাড়ে এবারও নানা প্রজাতির সুস্বাদু কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাহাড়ের আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় প্রতি বছরের মত চলতি মৌসুমেও জেলার থানছি, রোয়াংছড়ি, রুমা,লামা ও সদর উপজেলার সর্বত্রই বাগানে স্থানীয় জাতের কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাহাড়ের ঢালে ঢালে গাছে থোকা থোকা কমলা ধরেছে। চাষীরা মহাখুশি।
উপজেলা ও জেলা শহরের বাজারে চাহিদা সত্বেও ফড়িয়াদের বেপরোয়া দাপট শুরু হওয়ায় কমলা চাষীরা তাদের কাংখিত দাম পাবার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।
কমলা সংরক্ষণে সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আজও গড়ে তোলা হয়নি কোন হিমাগার। তবুও জেলায় প্রতি মৌসুমেই নানা জাতের কমলার ফলন বাড়ছে এবং কমলার আবাদও বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বত্রই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক মো. আলতাফ হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি কমলার বাগানে বিপুল কমলা ধরেছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চাষীরা স্থানীয়ভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে দেশীয় জাতের কমলার চাষ করে আসছেন অনেক আগে থেকে। তবে হালঅবস্থায় কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বাগানে কমলার ফলন বেশি পাচ্ছে চাষীরা। কমলার ফলন বেশি হওয়া ছাড়াও আকারে বড় এবং খেতে সুস্বাদুু।
জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম রনিনপাড়া গ্রামের কমলাচাষী রোয়ালকুপ বম ও জয়কাল তনচংগ্যা বলেন, তাদের কমলা বাগানে চলতি মৌসুমে বিপুল ফলন হয়েছে। কমলার ন্যায্য দাম পাবার ক্ষেত্রে তারা শংকিত। বিক্ষিপ্তভাবে স্থানীয় বাজারগুলোতে কমলা বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে বলেও তারা জানায়। প্রতি হালি মাঝারি কমলা ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। তবে পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি কমলা গড়ে ১২ টাকা দরে।
লামা উপজেলার সরই এলাকার কমলা চাষী হামদি, তামাল, আলমগীর এবং শামাচিং মারমা জানান, তারা বাগানে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কমলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। জেলা ও উপজেলা সদরে কমলাসহ ফলজ সংরক্ষণে কোন হিমাগার নেই। কোন কর্তৃপক্ষই হিমাগার স্থাপনে এখনও এগিয়ে না আসায় জেলায় কমলাসহ মৌসুমী ফলমুল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না বলেও চাষীরা জানান। ফলে প্রতিবছরই মৌসুম ভিত্তিক কোটি কোটি টাকা মূল্যের ফলজ পণ্য মাঠে পচে বিনষ্ট হয়ে যায়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।