- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- মানবতাবিরোধী অপরাধের আরো ৭টি আপিল মামলা শুনানির অপেক্ষায়
মানবতাবিরোধী অপরাধের আরো ৭টি আপিল মামলা শুনানির অপেক্ষায়
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আনা আরো ৭টি আপিল মামলা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এসব মামলার আসামিরা হলেন- জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী, এটিএম আজহারুল ইসলাম ও আব্দুস সুবহান, জামায়াতের এক সময়ের কর্মী মোবারক হোসেন, জাতীয় পার্টি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার, পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার ও মাহিদুর রহমান।
এ পর্যন্ত ৫টি আপিল মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে গত ২৯ জুলাই রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ। রায় রিভিউর জন্য আনা আবেদনও ১৮ নভেম্বর খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। এটি পঞ্চম আপিল মামলা। গত ১৬ জুন চতুর্থ আপিল মামলার রায়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে আপিল বিভাগ। মুজাহিদেরও রায় রিভিউর আবেদন ১৮ নভেম্বর খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। পরদিন ১৯ নভেম্বর সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির বেঞ্চ রায় রিভিউ’র আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ দুই আসামির রায় কার্যকর করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আপিলের প্রথম রায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার আপিল নিষ্পত্তির পর ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আপিল বিভাগ। এই রায় রিভিউ’র আবেদনও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এরপর ওই বছর ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর আপিলের দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ট্রাইব্যুনালে দেয়া সাজা মৃত্যুদণ্ড থেকে কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ। সাঈদীর পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি। এটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রায় রিভিউ’র আবেদন করা হবে।
আপিলের তৃতীয় রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালে দেওয়া ফাসিঁর দণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়। ফাসিঁর দণ্ড বহাল রাখার রায়ের বিরুদ্ধে কামারুজ্জামানের রিভিউ (পুর্নবিবেচনা) আবেদনও খারিজ করে রায় দেয় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১১ এপ্রিল রাতে এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের মধ্যে কামারুজ্জামান হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যার ফাসিঁর রায় কার্যকর করা হলো। জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযম ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলায় আনা আপিল অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছিল।
জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিল মামলার শুনানি চলছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।