সূচকের উত্থানে বেড়েছে লেনদেন
গত কয়েক সপ্তাহে টানা দরপতনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পাশাপাশি লেনদেন ও বাজার মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে।
তবে বড় ধরনের দরপতন দিয়ে শুরু হয়েছিল সপ্তাহের লেনদেন। কিন্তু এরপর ৪ দিনই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা দিয়ে শেষ হয় দিনের লেনদেন। মূলত রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শেয়ারবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময় আরও দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরদিন থেকে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় লেনদেনেও বড় ধরনের উন্নতি হয়।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২০.১৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। আর গত সপ্তাহে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৯৮ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে তা হয়েছে ৩৫৮ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৫.৩৭ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে। এ ছাড়া ৩.৪৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১০.১১ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.০৮ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। ৩২১টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৮টির, কমেছে ৬৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর।
বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে গত সপ্তাহে ডিএসইর তিনটি সূচকই বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৮.০৫ পয়েন্ট। সূচক বৃদ্ধির এ হার ২.২১ শতাংশ। এর ফলে ডিএসই সূচক ফের সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। ৪৪৩৩.৫৮ পয়েন্ট দিয়ে যাত্রা শুরুর পর সপ্তাহশেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫৩১.৬৩ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে সূচক কমেছিল ৬৮.৫৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১.৮৯ শতাংশ বা ৩১.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৭২১.০৬ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ২.২৫ শতাংশ বা ২৪.০৪ পয়েন্ট বেড়ে সপ্তাহ শেষে ১০৯১.৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাজার মূলধনের পরিমাণও বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় মূলধন বেড়েছে ১.৭২ শতাংশ।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা।
সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ইফাদ অটোস। আগের সপ্তাহের তুলনায় ১২.২২ শতাংশ লেনদেন কমে গেলেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে এ কোম্পানিটি। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির ১০৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫.৯৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এ কোম্পানির। অপরদিকে লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাইফ পাওয়ারটেক। এ কোম্পানির ৯০ কোটি ৩৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বিদায়ী সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৫.০৫ শতাংশ। অপরদিকে ৬৯ কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা লেনদেনের ফলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তিতাস গ্যাস। লেনদেনে এর পর রয়েছে যথাক্রমে- বেক্সিমকো ফার্মা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কেডিএস এক্সেসরিজ, কাশেম ড্রাইসেল, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।