- হোম
- >
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
- >
- ফেসবুক চলছেই!
ফেসবুক চলছেই!
২০১২ সালে বেশ ঘটা করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল ইউটিউব। বেশ কয়েকমাস দেশে বন্ধ ছিল ভিডিও শেয়ারিংয়ের এ জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটি। সম্প্রতি একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধে দুই জনের ফাঁসির রায় ঘোষণার পর নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ও অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ হলেও ব্রডব্যান্ডে সরাসরিই চলছে ফেসবুক, ভাইবার, স্কাইপ, লাইন, হোয়াট’স অ্যাপ ও ইমুর মতো অ্যাপসগুলো। এর জন্য কোনো প্রক্সিরও দরকার হচ্ছে না।
মহাখালী নিবাসি মারজানা মান্নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ জানার পর থেকে অনেক্ষণ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেননি। কিন্তু গভীর রাতে আবার ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারেন। এরপর থেকে এখনও ফেসবুক, ভাইবার, লাইন, ইমু একসাথেই ব্যবহার করতে পারছেন।
চট্টগ্রামে সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন হাসান মুন্না। ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ থাকার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কিছুক্ষণ পরপরই স্ট্যাটাস আপডেট করছেন। বাসে যাওয়ার সময় পাশে বসা সহযাত্রী খবরের কাগজে পড়ছিলেন, দেশে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ। অথচ তার সহযাত্রী অনায়াসে ব্যবহার করে যাচ্ছে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার বটে!
ফেসবুক ব্যবহার করা যাচ্ছে অনেকভাবেই। কেউ প্রক্সি সার্ভার, ডায়নামিক আইপি, ব্রডব্যান্ড ইউজ করে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। এবং যারা ব্যবহার করতে পারছেন না তাদের চেয়ে তারা যে একধাপ এগিয়ে আছেন, তা বেশ গর্ব করেই বলছেন। তবে কোথাও কোথাও কোনো প্রক্সিও দরকার হচ্ছে না। সরাসরি ফেসবুকে প্রবেশ করা যাচ্ছে।
অনেকে যারা মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন তারা ফেসবুক বা যোগাযোগের অন্য অ্যাপসগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না। তাই গত দুপুর থেকে এখনও রয়েছেন ফেসবুকের বাইরে।
এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে কথা হয় সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইমদাদ উল বারির সাথে। তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে আমরা সব মাধ্যম থেকেই ফেসবুক সহ যোগাযোগের অ্যাপসগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি এবং তা কার্যকর করা হয়েছে।’
বন্ধের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ব্রডব্যান্ড থেকে কীভাবে ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা বন্ধ করেছি। আমার অফিসে ব্রডব্যান্ড থাকা সত্ত্বেও আমি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছি না। আমার বাসায় কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছে না। অন্য কেউ যদি চালিয়ে থাকে, আমাদের তথ্য দিন। আমরা অবশ্যই বন্ধ করে দিবো।’
প্রক্সি আইপি এবং ডাইনামিক আইপির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘পুরোপুরিভাবে এই যোগাযোগের অ্যাপসগুলো বন্ধ করা সম্ভব না। সারা পৃথিবীতেই প্রক্সি আইপি বা ডাইনামিক আইপির মাধ্যমে অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে কিছু মানুষ। ডাইনামিক আইপিগুলো যতটা বন্ধ করা হয়, তার চেয়ে বেশি ডাইনামিক আইডি চালু করে ব্যবহারকারীরা। বন্ধ করতে গিয়ে মাঝে মাঝে কেউ ইন্টারনেট সংযোগ পাচ্ছেন না। অভিযোগ আসার পর চেক করে আবার সেই ইন্টারনেট সংযোগ চালু করে দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে কিছু ডাইনামিক আইপি ঢুকে পড়ে। তাই পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না। তবে আমরা তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই যেখানে ফেসবুক ব্যবহার হচ্ছে, সেখানেই বন্ধ করে দিচ্ছি।’
কিছু লোক ব্যবহার করছে আর কিছু লোক ব্যবহার করছে না। এতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমদাদ বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা পুরোপুরি বন্ধ করার। এর পরে যারা এখনও ব্যবহার করছে, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সব সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপস গুলো বন্ধ থাকবে এটাই চূড়ান্ত।‘
আমাদের অনেকগুলো গেটওয়ে আছে। সবগুলো বন্ধের নির্দেশ আমরা দিয়েছি। এর পরেও যদি কোনটা খোলা থাকে, আমরা যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ করে দিবো- যোগ করেন বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের পরিচালক।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।