মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে দলটির ডাকা দেশব্যাপী বৃহস্পতিবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরায়।

হরতালের সমর্থনে কোথাও কোনো মিছিল, মিটিং বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। সকাল থেকেই সব রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভোমরা বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও রয়েছে স্বাভাবিক।

অন্যদিকে, চলমান যৌথ অভিযানে জামায়াত-বিএনপির ১৭ কর্মীসহ ৩৭ জনকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত জেলার আটটি থানায় একযোগে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামায়াতের ১৪ ও বিএনপির তিন কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। বাকিরা নিয়মিত মামলার আসামি। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফেন্সিডিলসহ ভোমরা থেকে আটক হয়েছেন।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, রাতে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সদর থানায় ১১, কলারোয়ায় ৪, তালায় ৪, কালিগঞ্জে ৩, আশাশুনিতে ২, দেবহাটায় ১, শ্যামনগরে ৩ ও পাটকেলঘাটায় ৫ গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার চৌধুরী মন্জুরুল কবির জানান, সাতক্ষীরার মানুষ হরতাল প্রত্যাখান করছে। তারা আর হরতাল অবরোধ চায় না। তবে যে কোন ধরনের নাশকতা এড়াতে সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান জানান, সাতক্ষীরায় স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন। বিজিবি টহল নিয়মিত, হরতালের উদ্দেশ্যে নয় বলে জানান তিনি।