সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
অভিযোগ-১:
১৯৭১ সালের ৪ বা ৫ এপ্রিল রাত আনুমাণিক ৯টার পর চট্টগ্রাম শহরের রামজন লেনে মতিলাল চৌধুরীর বাসায় দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন মতিলাল চৌধুরীসহ অরুণ চৌধুরী, যোগেশ চন্দ্র দে, পরিতোষ দাস, পাচক সুনীল ও তাদের বন্ধুরা। এসময় আসামি সাকা চৌধুরীর অনুগত আব্দুস সোবহান ওই বাড়িতে ঢুকে তাদের দেখে দ্রুত বাসা থেকে বের হন এবং গুডসহিলে খবর দেন। এর ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই সোবহান দুই ট্রাক পাকিস্তানি সেনা সঙ্গে নিয়ে বাসাটি ঘেরাও করেন এবং মতিলালদের ধরে ট্রাকে তুলে সাকা চৌধুরীর বাড়িতে স্থাপিত নির্যাতন কেন্দ্র গুডসহিলে নিয়ে যান। এরমধ্যে পাচক বয়সে তরুণ হওয়ায় তাকে গুডসহিলের নির্যাতন কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাকি ৬ জনকে আটক করা হয়। তাদেরকে সেখানেই হত্যা করা হয়।
অভিযোগ-২:
১৩ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একদল সদস্য গহিরা গ্রামে হিন্দু অধ্যুষিত পাড়ায় সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দুদের হত্যা করে।
অভিযোগ-৩:
১৩ এপ্রিল সকাল আনুমাণিক ৯টার দিকে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা গহিরা শ্রী কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে।
অভিযোগ-৪:
সাকা চৌধুরীর দুই সহযোগী আব্দুল মাবুদ ও অপর একজন একইদিন (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হিন্দু অধ্যুষিত জগৎমল্লপাড়ায় সশস্ত্র অভিযান চালান। এখানে ৩২ নারী-পুরুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
অভিযোগ-৫:
ওই দিন ১৩ এপ্রিল বেলা আনুমাণিক একটার দিকে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র অভিযান পরিচালনার আগে আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার পিতা ফজলুল কাদেও চৌধুরী, তাদের অনুসারী এবং পাক সেনারা বণিকপাড়ায় প্রবেশ করে স্থানীয় নেপাল চন্দ্র ধর, মনীন্দ্র লাল ধর, উপেন্দ্র লাল ধর ও অনিল বরণ ধরকে গুলি করে। এতে প্রথম ৩ জন নিহত ও শেষের জন আহত হন। হত্যাকান্ডের পর বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
অভিযোগ-৬:
১৩ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা হিন্দু জনগোষ্ঠীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে হিন্দু নর-নারীদের হত্যা করে।
অভিযোগ-৭ :
১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল দুপুর আনুমাণিক ১২টার দিকে আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পাকিস্তানি সেনা সদস্য রাউজান পৌরসভা এলাকার সতীশ চন্দ্র পালিতের বাড়িতে প্রবেশ করে। পাকিস্তানি সেনারা সতীশকে গুলি করে হত্যা করে এবং তার লাশ কাঁথাকাপড় দিয়ে মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। পরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ সৈন্যরা সবাই একসঙ্গে চলে যায়।
অভিযোগ-৮:
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনারা হাটহাজারী থানার খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি তিন রাস্তার মোড়ে শেখ মোজাফফর আহম্মেদ ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে স্থানীয় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেই থেকে শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও শেখ আলমগীর নিখোজ এবং তাদের লাশও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ-৯:
মুক্তিযুদ্ধকালে এপ্রিলের মাঝামাঝি দু’টি বড় ট্রাকযোগে পাকিস্তানি সেনা চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে আসে। ওই সময় সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা বণিকপাড়ার রামবাবুর ঘর-বাড়ি ও কদুরখিল হিন্দুপাড়া লুটপাট করে।
অভিযোগ-১০:
১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানিরা সাকা চৌধুরীর সঙ্গে ডাবুয়া গ্রামে মানিক ধরের বাড়িতে এসে তার জিপ গাড়ি ও ধান ভাঙ্গার কল লুট করে নিয়ে যায়। মানিক ধর সাকা চৌধুরীসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ-১১:
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল সকালবেলা মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরী ও আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুগতরা চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা শাকপুরা গ্রামে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে হিন্দুদের হত্যা করে। পরে শহীদদের মধ্যে ৫২ জনের লাশ পাওয়া যায়।
অভিযোগ-১২:
একাত্তরের ৫ মে সকাল সাড়ে ১০টায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাউজান থানার জ্যোতিমল গ্রামে গুলি করে বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরী রাখাল, বিভূতি ভূষণ চৌধুরী ও হীরেন্দ্র লাল চৌধুরীকে হত্যা করে।
অভিযোগ-১৩:
১৫ মে সন্ধ্যার সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে তাদের সহযোগী শান্তি কমিটির সদস্য অলি আহম্মদ পাকিস্তানি বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ঘাসিমাঝির পার এলাকার বাড়িঘরে আক্রমণ, লুটপাট, গুলি করে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে আহত এবং অন্তত ৫ নারীকে ধর্ষণ করে।
অভিযোগ-১৪:
১৯৭১ সালের ২০ মে বিকেল ৪টার দিকে আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে তার সহযোগী কয়েকজন রাজাকার সদস্য রাউজান থানার পথেরহাটের কর্তার দীঘির পারে মোঃ হানিফকে হত্যা করে।
অভিযোগ-১৫:
মে মাসের মাঝামাঝি কোন একদিন বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে দু’টি ট্রাকে পাকিস্তানি সেনা সদস্য ও বেসামরিক পোশাকে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি এসে চট্টগ্রাম শহরের রহমতগঞ্জে শেখ মায়মুন আলী চৌধুরী ও তার ভাগ্নি জামাই মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরীকে সকল কাপড়-চোপড় খুলে হাত-পা বেঁধে দৈহিক নির্যাতন করে।
অভিযোগ-১৬:
১৯৭১ সালের ৭ জুন রাজাকার মাকসুদুর রহমান ও আসামির পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় জামাল খান রোড থেকে ওমর ফারুককে ধরে নিয়ে গুডসহিলের চর্টার সেলে আটক রাখেন। পরবর্তীতে আটকাবস্থায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে তাকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়।
অভিযোগ-১৭:
১৯৭১ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যা আনুমাণিক সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার দিকে আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ২/৩ জন সহযোগীসহ পাকিস্তানি সেনারা চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালি থানার হাজারী লেনের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পোড়াবাড়ি থেকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজ ও ওয়াহেদ ওরফে ঝুনু পাগলাকে অপহরণ করে গুডসহিলে নিয়ে যায়। সেখানে মেজর গজনফরের নেতৃত্বে ঘণ্টা দেড়েক তাদের ওপর নির্যাতনের পর চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ায় আগ পর্যন্ত তারা বন্দী ছিলেন।
অভিযোগ-১৮:
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে একদিন ভোর আনুমাণিক সাড়ে ৫টায় আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচররা চান্দগাঁও থানার মোহারা গ্রামের মোঃ সালেহউদ্দিনকে অপহরণ করেন। এরপর তাকে গুডসহিলের টর্চার সেলে নেওয়া হয়। সেখানে সালেহ উদ্দিনকে দৈহিক নির্যাতন করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজে।
অভিযোগ-১৯:
১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই রাত আনুমাণিক সাড়ে আটটায় হাটহাজারীর নেয়ামত আলী রোডের সাহেব মিয়ার বাড়ি (রজমান টেন্ডলের বাড়ি) ঘেরাও করে তার দু’ছেলে নুর মোহাম্মদ ও নুরুল আলমকে অপহরণের পর একইভাবে নির্যাতন করা হয়। ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে গুডসহিলের নির্যাতন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ-২০ :
২৭ বা ২৮ জুলাই বিকেল ৩/৪টায় রাজাকার বাহিনী আকলাছ মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গুডসহিলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। সেখানে তিনি নিহত হন।
অভিযোগ-২১:
১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫/৭ তারিখের দিকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার বিনাজুরি গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী একই জেলার কোতোয়ালি থানার জেল রোডে অবস্থিত নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাগজের দোকানে যান। সেখান থেকে আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে অপহরণ করে গুডসহিলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ৩/৪ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
অভিযোগ-২২:
১৯৭১ সালের আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন রাত আনুমাণিক ৯টায় মোঃ নুরুল আনোয়ার চৌধুরীকে অপহরণ করা হয়। আসামি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার সহযোগী আলশামস বাহিনীর সদস্যরা মৃত আশরাফ আব্দুল হাকিম চৌধুরীর বাসভবন ৪১/২ স্ট্যান্ড রোড সদরঘাট, থানা ডবলমুরিং জেলা চট্টগ্রাম থেকে তাকে অপহরণ করে গুডসহিলে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাড়ে ছয় হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নুরুল আনোয়ারকে ছেড়ে দেন।
অভিযোগ-২৩:
১৯৭১ সালে ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমাণিক সাড়ে ছয়টার সময় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মুসলিম ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আলশামস কমান্ডার হামিদুল কবির চৌধুরী খোকা, মাহবুব, সৈয়দ ওয়াহিদুর আলমসহ কয়েকজনকে চট্টগ্রাম আব্দুস সাত্তার রোড এলাকার এম সলিমুল্লাহকে গুডসহিলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সারারাত নির্যাতন শেষে তার আত্মীয়দের অনুরোধে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়
মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর বণিকপাড়া ও ঊনসত্তরপাড়ায় গণহত্যা, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
ওই রায়ে বলা হয়, সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২৩টি অভিযোগ এনেছে, যার মধ্যে নয়টি (২ থেকে ৮ এবং ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে তৃতীয় অভিযোগে নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, পঞ্চম অভিযোগে সুলতানপুর বণিকপাড়া ও ষষ্ঠ অভিযোগে ঊনসত্তরপাড়ায় গণহত্যা, অষ্টম অভিযোগে হাটহাজারীর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোজাফফর ও তাঁর ছেলেকে অপহরণ করে খুনের দায়ে সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দ্বিতীয়, চতুর্থ ও সপ্তম অভিযোগে হত্যা, গণহত্যার পরিকল্পনা, সহযোগিতা এবং লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও দেশান্তরে বাধ্য করার ঘটনায় সাকা চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৭ ও ১৮ নম্বর অভিযোগে অপহরণ ও নির্যাতনের দায়ে তাঁকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি ১৪টি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেগুলো থেকে তাঁকে খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
হরতালে গাড়ি পোড়ানোর এক মামলায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সাকা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে তাঁর বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।