চাদাবাজি মামলায় ফাঁসিয়ে আ.লীগ নেতার জমি দখল নিল বিএনপি নেতা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চাদাবাজী মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার জমি দখল করে বিএনপি নেতা দোকান নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি পৌরসভার আরামনগর মেইনরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এবং পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার আরামনগর মেইনরোড এলাকার মৃত গোলাপ উদ্দিন সরকারের ছেলে সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এ্যাড. এ কে এম ফজলুল হকের সাথে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল বারেকের ছেলে সাবেক উপজেলা যুবলীগের সদস্য শফিকুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরধরে জমি দখলে নিতে নানা চক্রান্ত আটে ফজলুল হক। তার প্রতিপক্ষকে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ করতে স্থানীয় বিএনপি’র প্রভাব খাটিয়ে ২০০৪ সালে ১৬ জুলাই মাসের সরিষাবাড়ী থানার মামলা নং ০৮ তে বয়োবৃদ্ধ আব্দুল বারেক, তার স্ত্রী ফজিলা বেগম ও ৪ ছেলে ফরহাদ, শফিকুল, নজরুল, ইসমাইল এবং মেয়ে সীমা, পুত্রবধূ নাজমা বেগমকে আসামি করে পৃথক পৃথক ২টি মামলা করেন। মামলায় বাড়ির পাশ্ববর্তী লোকদের স্বাক্ষী না করে দূরবর্তী ঘটনার প্রত্যক্ষ নয় এমন ভাডাটিয়া লোকদের স্বাক্ষী করা হয়। মামলায় ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী হলে এর মধ্যে শফিকুল, নজরুল, বয়োবৃদ্ধ বারেককে পুলিশ গ্রেপ্তারর করলে তারা ২ মাস ৪ দিন জেল খাটেন। বাকী ৫ জন পলাতক থাকেন। এ সুবাদে অনায়াশে আব্দুল বারেকের ৪০ শতাংশ জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি জবরদখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেন একেএম ফজলুল হক। অপর জি.আর মামলাটির যার নং-১২৩০(২)০০৪ দ্রুত বিচার আদালত মামলা নং ১৩০/০৪, এর সর্বশেষ রায় ৩ বছরের জেল ও অর্থ দণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। পরে আব্দুল বারেক সহ অনান্যরা ক্রিমিনাল আপিল নং কোর্ট যার মামলা নং-১০/০৫ইং জামালপুর স্পেশাল আপীল কোর্টে আপীল আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। পরিবারটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় বিএনপি অধ্যুষিত এলাকায় বসবাস করায় রাজনৈতিক কারণে হয়রানী করার জন্য বিবাহিত মেয়ে, বয়োবৃদ্ধা গৃহবধূ, পুত্রবধূকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদের অর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা হচ্ছে।
আরো জানা গেছে, ফরহাদ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বলার দিয়ার গ্রামে থাকলেও তাকে আসামি করা হয়। তিনি ২০১১ সালে মারা যান। এ ছাডাও মেয়ে সীমা চট্রগ্রামে তার স্বামীর সাথে থাকলেও তাকে ঘটনার সাথে জডিয়ে মামলায় আসামি করা করা হয়।
এ ব্যাপারে বয়োবৃদ্ধ আব্দুল বারেক জানান, আমি স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক হওয়ায় আমাকে ও আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার করিয়ে আমার ৩ শতাংশ জমিদখল করে নিয়ে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। আমি আমার জমি ফেরত চাই। ওই জমি দখলের পিছনে নেতৃত্ব দিয়েছে বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার। গ্রাম্য রাজনৈতিক কারণে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমরা।
এদিকে জমি দখল নেওয়া ফজলুল হক জানান, আমি বারেকের ভাইয়ের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে নিয়েছি। জবর দখল করি নাই।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।