পার্বতীপুরে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরে গেছে হাটবাজার
পার্বতীপুরে শীতকালীন শাকসবজিতে হাটবাজারসহ সর্বত্র ভরে গেছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে বিভিন্ন পণ্যের দাম চলে আসায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মঙ্গলবার পার্বতীপুর শহরের নতুন বাজারে গিয়ে সবজিব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৮ টাকা, পাতাকপি ১৪ টাকা, মুলা ৮ টাকা, সীম ২৬ টাকা, বেগুন ১৮, ২০ ও ২২ টাকায়। ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, ১০ দিন আগে ধনেপাতা বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা।
ক্রেতা লোকমান ও মোকসেদ আলী জানান, শাকসবজির বর্তমান পর্যায়ের দামে ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
উপজেলার ২নং মন্মথপুর ইউনিয়নের দ্যাগলাগঞ্জ এলাকার মুলা ও বেগুনচাষী কৃষক রইচ উদ্দিন বলেন, পার্বতীপুরের জমিরহাট, খয়ের পুকুরহাট, মধ্যপাড়া, যশাইহাট মন্মথপুর, তাজনগর ও দ্যাগলাগঞ্জ এলাকায় প্রচুর শাকসবজি উৎপাদন হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, উপজেলার জমির হাট ও মধ্যপাড়া এলাকায় উৎপাদিত বেগুন, খয়ের পুকুর হাটের আলু এখানকার ভোক্তাদের চাহিদা মেটানোর পরে দেশের অন্যত্র রপ্তানি করা হয়। বাজারে নতুন আলু এখনও আসেনি। কোল্ড স্টোরের আলু বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৬ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, পার্বতীপুর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ’ ৪৭ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭০ হেক্টর জমিতে দেশি ও ১৩৭৭ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের আলু আবাদ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে আরও বলা হয়েছে, আলু আবাদ এখনও চলছে। শেষ পর্যন্ত আরও কমপক্ষে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, উপজেলায় ৩৪০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ও উফশী জাতের বেগুন আবাদ করা হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।