- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন
মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন
মার্কিন একদল চিকিৎসক জানিয়েছেন তারা নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে এ যাবতকালের সবচেয়ে ব্যাপক মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপনের একটি অস্ত্রোপচার সফলভাবে শেষ করেছেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ মাথার চামড়া, কান এবং চোখের পাতাও প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, প্লাস্টিক সার্জন এডুয়ার্ডো রদ্রিগেজের নেতৃত্বে একটি দল ২৬ ঘণ্টাব্যাপী এই জটিল অস্ত্রোপচারটি শেষ করেন।
অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৪১ বছর বয়সী একজন অগ্নিনির্বাপনকারী (ফায়ার সার্ভিস কর্মী), প্যাট্রিক হ্যারিসনের সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল আরেকজনের মুখমণ্ডলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন করা হয়। আগুনে আটকে পড়া এক নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেই অগ্নিনির্বাপনকর্মীর মুখমণ্ডল পুড়ে যায়।
প্রতিস্থাপনের জন্য মুখমণ্ডলটির দাতা ২৬ বছর বয়সী যুবক ডেভিড রোডবা্ গত আগস্টে একটি সাইক্লিং দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। জীবদ্দশায় তিনি মরণোত্তর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের অঙ্গীকার করেছিলেন।
গত আগস্ট মাসে অস্ত্রোপচারটি শেষ হলেও রবিবারই এটি প্রকাশ করা হয়।
চিকিৎসক এডুয়ার্ডো রদ্রিগেজ বলেন, এই অপারেশনে যতগুলো টিস্যু লাগানো হয়েছে, এর আগে কোনো অপারেশনে এত টিস্যু লাগানো হয়নি। তবে অস্ত্রোপচার সফল হবার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছিল চিকিৎসক দল।
একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে আটকে পড়া এক নারীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তৃতীয় মাত্রার দগ্ধ হন মি. হার্ডিসন। আগুনে তার পুরো মুখমণ্ডল এবং মাথার চামড়া পুড়ে যায়।
প্রায় ১০ লাখ ডলারের সেই অস্ত্রোপচারের তিন মাস পর প্যাট্রিক হ্যারিসন ভালোভাবেই সেরে উঠছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন প্রতিস্থাপিত টিস্যুকে প্রত্যাখ্যান করতে না পারে সেজন্যে তাকে বাকি জীবন এন্টি-রিজেকশন ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।
অস্ত্রোপচারের ফলে প্যাট্রিক তার চোখের পাতা এবং চোখের পাতা ফেলার ক্ষমতা ফিরে পেয়েছেন। এখন তার মাথাভর্তি চুল, ভ্রূ, খোঁচা খোঁচা দাড়িও রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।