- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- অদ্ভুতুরে পাখিদের বৈচিত্রময়তা
অদ্ভুতুরে পাখিদের বৈচিত্রময়তা
পৃথিবীতে প্রায় ১০ হজার প্রজাতির পাখি আছে। পাখিদেরকে কখনো আকাশে কখনো খোলা জায়গায় এমনকি পানিতেও বিচরণ করতে দেখা যায়। আকার, আকৃতি, রংভেদে পাখির মধ্যেও আছে ভিন্নতা। আবার সব দেশে সবরকম পাখি বসবাসের জন্যও উপযোগী নয়। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু বিচিত্র পাখি আছে যাদের আকার আকৃতি গড়ন অন্যান্য পাখি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সম্প্রতি একটি জীববিদ্যার গবেষণায় পৃথিবীর বিচিত্র এবং আজব কিছু পাখির নাম তালিকাভূক্ত হয়েছে যা সত্যিই আপনাকে বিস্মিত করবে।
কাগু পাখি
একমাত্র অষ্ট্রেলিয়ার ছোট একটি দ্বীপ নিউ কেলেডোনিয়াতে দেখা মিলবে বিরল প্রজাতির এই পাখি। এই পাখি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে। বছরের একবার পাখিটি একটি মাত্র ডিম দিয়ে থাকে। তবে এর বিশেষত্ব হচ্ছে এই যে, এই পাখিটির ঠোঁট ও নাক একসঙ্গে লাগানো। তারা একই সঙ্গে নাক ও মুখ দিয়ে খাবার গ্রহন করে থাকে।
ফিলিপাইন ঈগল
এই পাখিটি পৃথিবীর সবচেয় দীর্ঘ লেজবিশিষ্ট পাখি। এদের লেজ প্রায় তিন ফুট লম্বা হয়ে থাকে। তবে এটিই পৃথিবীর প্রথম পাখি যার প্রতিদিনের খাবার হলো বানরের মাংস। এরা মূলত বানরের মাংস খেয়েই থাকে। এদেরকে বানরখেকো পাখিও বলা হয়। ১৯৯৪ সালে ফিলিপাইন সরকার পাখিটিকে দেশটির জাতীয় পাখি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বিধায় এই পাখি ধরা এবং হত্যা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ অন্যথায় বারো বছরের জেল।
কাকাপো
এই অসাধারণ পাখিটি পৃথিবীর দুর্লভ পাখিদের মধ্যে একটি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাত্র ১২৪ টি পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে। দেখতে টিয়া পাখির মতো এই পাখিগুলো নিউজিল্যান্ডে বেশি দেখা যায়। তবে শুনে অবাক হতে হয়, এই পাখিটি উড়তে পারে না। যেহেতু এরা উড়তে পারে না এবং বেশিরভাগ সময় ভূমিতেই বিচরণ করে তাই তাদের খাদ্য তালিকায় থাকে মৃত হরিণ ও মোরগের মাংস। তবে এই পাখিটির আর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে স্ত্রী পাখিদের জন্য সবসময় পুরুষ পাখিটিই খাদ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসে।
ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর
ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর সাধারণত উত্তর আমেরিকাতে দেখা যায়। এদের দেহের তুলনায় মুখমন্ডল খুবই ছোট। এরা একটানা অনেকদিন আকাশে উড়তে পারে। ২০১৩ সালে বনাঞ্চল থেকে প্রায় ১৯৮ পাখি আটক করে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদের আকার আর ডানা এতই বড় যে যখন এরা আকাশে ওড়ে তখন তাদের ছোট প্লেন মনে করে অনেকেই ভুল করে।
অয়েল বার্ড
এই পাখিটির দেখতে পাওয়া যাবে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চলে। কাকাপোর মত এরা নিশাচর প্রাণী। রাতের বেলাই এরা বেশি বিচরণ করে। নামের সঙ্গে মিল রেখে এই পাখিগুলো বেশ তৈলাক্ত হয়ে থাকে। এই পাখিগুলোর মৃত দেহ ফুটিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মুলত জ্বালানি তৈরি করার কাজেই মানুষ এই পাখি শিকার করে থাকে। এছাড়াও পৃথিবীতে রয়েছে নাম না জানা নানা প্রজাতির পাখি। পাখিদের কিছু অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যগুলোই একটি থেকে আর একটি আলাদা করে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।