রোবট আবিষ্কার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার এ.এস.এম শামীম হাসান। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামের হাজী আব্দুল গনীর ছেলে।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী এ.এস.এম শামীম হাসান ওয়াটার লেভেল কন্টোলার, জেনারেটরের ভোল্টেজ ষ্টাবিলাইজার, স্মার্টফোন কন্টোল হোম এপ্লাইন্স এ্যান্ড সিকিউরিটি লক, অটোমেটিক ফ্যান স্প্রিড কন্টোল, অটোমেটিক সোলার ট্রেকার আবিষ্কার করে কুষ্টিয়া জেলাব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।

শামীম হাসান কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যাপ্লাইড ফিজিক্স, ইলেট্রনিক্স এ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এমএসসিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী।

স্মার্টফোন কন্টোল রোবট আবিষ্কার বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, এই রোবটটি মূলত উদ্ধার এবং গোপন কোন তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা যাবে। যে সকল স্থানে মানুষের যাওয়া সম্ভব নয়, সেখানে এ রোবটটি যেতে পারবে এবং সেখানকার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করতে পারবে। স্মার্টফোন চালিত রোবট এটি। যার সব কিছুই মোবাইল ফোন দ্বারা কন্টোল করা যাবে। রোবটের চারপাশে কোন অবস্থান জানার জন্য এর গোপন ক্যামেরা ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে ভিডিও চিত্রধারন করতে পারবে এবং তা সরাসরি টিভিতে দেখা যাবে। রোবটের একটি হাত রয়েছে। যার দ্বারা কোন নমুনা তুলে নিয়ে আসতে পারবে খুব সহজে।

তিনি আরো জানান, রোবটটি গবেষণা করে তৈরী করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে। রোবটে ব্লুটুথ মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ওয়াই-ফাই মডিউল ব্যবহার করা যায় তাহলে এর নিয়ন্ত্রণের দুরত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে এটি ৫০ মিটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

শামীম হাসানের বাবা হাজী আব্দুল গনী বলেন, ছোট বেলা থেকেই শামীম এসব কাজ নিয়ে গবেষণা করতো।সেই থেকেই তার পথচলা শুরু। বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র আবিষ্কার করেছে সে। তারপর থেকেই আমরা তাকে উৎসাহ জুগিয়ে আসছি। তাছাড়া তার বন্ধুরাও তাকে উৎসাহ দিয়েছে। ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র আবিস্কার করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তার দাবি সরকারি সহযোগীতা পেলে এ সকল ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা দেশের জন্য অনেক বড় কিছু আবিষ্কার করে দেখাতে পারবে এমটাই বলেন তিনি।