কোন সতর্কতা ছাড়িই দীর্ঘদিন জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করায় গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রায় এক বছরের মধ্যেই এই ধরনের মৃত্যু দেখে টনক নড়ে স্থানীয় কৃষকদের। এরপরই তাদের চিন্তায় আসে বিষমুক্ত চাষের কথা। এ কারনে যশোরের বাঘারপাড়ার বেশকয়েকটি গ্রাম পরিচিতি পায় বিষমুক্ত গ্রাম হিসেবে। তবে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করেও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অভিযোগ করেন কৃষকরা।

কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে যেখানে প্রতিবছর শুধু কীটনাশকের পেছনেই চার-পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় করা হতো, সেখানে এখন মাত্র কয়েকশ টাকা খরচ হচ্ছে।

কৃষকদের বিষমুক্ত চাষে উৎসাহিত করতে বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

কমিটির সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষিপণ্যের বেচা-কেনার নির্দিষ্ট স্থান চালু করার কাজ করছেন, যা হলে কৃষকরা ওই সব স্থানে এসে নিজেদের পণ্যকে বিষমুক্ত প্রমাণ করেতে পারবেন। এবং ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে পারবেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট সংস্থা গুড অ্যাগ্রিকালচার প্রোডাক্ট বা জিএপির আওতায় কৃষিপণ্যের সার্টিফিকেট প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এতে বিষমুক্ত পণ্যের ন্যায্য দামও নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।