দুই দশক ধরে রাজনগরে নেই নির্বাচন কর্মকর্তা
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তা নেই দুই দশক ধরে। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তা ছাড়াই।
জানা যায়, রাজনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস চালু হয় ১৯৯৫ সালে। ওই সময় থেকে এ অফিসে কোন কর্মকর্তা দেওয়া হয়নি। একজন কম্পিউটার অপারেটর ও একজন অফিস সহকারী দিয়ে চলছে এ কার্যালয়।
বর্তমানে এ কার্যালয়ে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে রয়েছেন সুশীতল চন্দ্র দেব ও অফিস সহকারী হিসেবে আছেন মোহাম্মদ নৌশা মিয়া। অফিস সহকারী মোহাম্মদ নৌশা মিয়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা থাকায় যে কোন সময় তিনি অবসরে যেতে পারেন।
নির্বাচন কার্যালয় চালুর পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কখনো ইউএনও, সহকারী কমিশনার, কুলাউড়া সদর উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে রাজনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন কুলাউড়া উপজেলার নির্বাচন কর্মকতা মোঃ জিল্লুর রহমান।
এদিকে আগামী ৮ই ডিসেম্বর মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনে উপ-নির্বাচনের ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী। নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে পুরো দমে। এতে কর্মকর্তা কর্মচারী সংকটে হিমশীম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
কার্যালয়ের মূল কাজ করছেন সুশীতল চন্দ্র দাস। তিনি কোন কাজে জেলা সদর বা বাহিরে গেলে সমস্যায় পড়েন সেবা প্রার্থী সাধারণ মানুষ। নামের সংশোধন করতে আসা আব্দুল মালিক (৪০) বলেন, আমি কামারচাক থেকে এসেছি এসে জানলাম বাবু (সুশীতল চন্দ্র দেব) অফিসের কাজে মৌলভীবাজার।
রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭০ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে বিগত তথ্য সংগ্রহের সময় ১৫শ’র অধিক ভোটার স্থানান্তর ও মৃত্যুজনিত কারণে বাদ পড়েছেন। তবে, সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ শেষে নতুন অন্তর্ভূক্ত ভোটারের খসড়া তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এখনই তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হচ্ছেন না। খসরা তালিকা প্রকাশের পরই তারা যুক্ত হবেন নতুন তালিকায়।
রাজনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসে কর্মরত সাঁট মুদ্রাক্ষরিক সুশীতল চন্দ্র দেব বলেন, এ কার্যালয়ে কখনো সরাসরি কোন কর্মকর্তা দেওয়া হয়নি। যারাই এসেছেন সকলেই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কাজ চালিয়েছেন। আমি একাই এ কার্যালয়ের কাজ করছি। অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান।
মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মোঃ ইস্তাফিজুল হক আখন্দের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এখন তিনি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বাহিরে আছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।