অবশেষে দুবলার চরে শুটকি তৈরির অনুমতি পেল জেলেরা
অবশেষে সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় চলতি মৌসুমে গভীর সাগর ও সাগর উপকূল থেকে মাছ আহরণে বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে দুবলার চরে শুটকি প্রক্রিয়া করতে সীমিতভাবে শীতকালীন অস্থায়ী জেলে পল্লী বসাতে অনুমতি দিয়েছে বনবিভাগ। বুধবার প্রধান বন সংরক্ষক ঢাকা থেকে খুলনার বন সংরক্ষককে দেয়া এক পত্রে এ অনুমতির কথা জানান। বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের সংরক্ষক ড. সুনীল কুমার কুন্ডু এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
গত প্রায় এক মাস আগেই বঙ্গোপসাগরের দুবলা চরে শুটকি মৌসুম শুরু হলেও বন বিভাগের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে জেলেরা সময় মত যেতে পারেনি। এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর হাজার হাজার জেলে তাদের ট্রলার ও নৌকা নিয়ে পশুর ও শিবসা নদী দিয়ে দুবলার চরে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
দুবলার আলোর কোলের শুঁটকি ব্যবসায়ী মায়িন ফরাজী জানান, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুবলার চরে এ শুঁটকীর পল্লী বসলেও এ বছর তা বৈধভাবে এক মাস পরে শুরু হচ্ছে। এতে করে জেলে ও মৎস্যজীবিদের এক মাস মাছ ধরা থেকে পিছিয়ে পড়ায় মোটা অংকের টাকা লোকসান গোনার আশংকা রয়েছে। তবে দেরীতে হলেও অনুমতি দেয়ায় জেলেরা খুশী। দু’একদিনের মধ্যেই জেলেরা সাগরে রওনা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান (অবঃ) মেজর জিয়া উদ্দিন জানান, বুধবার এ অনুমতি মেলায় দুবলার চর নিয়ে বিদ্যমান অচল অবস্থার অবসান ঘটলো। এতে করে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার জেলে মহাজন ও তাদের পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের সংরক্ষক ড. সুনীল কুমার কুন্ডু জানান, মাছ আহরণ ও শুটকি প্রক্রিয়ায় অনুমতি মিললেও এ ব্যাপারে বন বিভাগ কঠোর নজরদারী বজায় রাখবে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।