এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এলটন চিগাম্বুরার দলকে ৫৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছিল মাশরাফির বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রতিপক্ষকে ২৪২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৩.২ ওভারে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ।

টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে এলটন চিগাম্বুরার দল। মাশরাফি, সানি, মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে ভেঙ্গে পড়ে তাদের টপ অর্ডার। ২০ ওভারে মাত্র ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।

কিন্তু এরপরই সিকান্দার রাজাকে নিয়ে জুটি গড়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চালান অধিনায়ক চিগাম্বুরা। কেবল প্রতিরোধ না, গত ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা চিগাম্বুরা ও সিকান্দার রাজার ব্যাটিং স্বাগতিকদের প্রতি চোখও রাঙ্গাচ্ছিল। ৭৩ রানের জুটি গড়ে ক্রমশ ব্যবধান কমিয়ে আনছিলেন তারা।

সিরিজ জয়ের পথের সে বাধা ভেঙ্গে দিলেন পেসার আল-আমিন হোসেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ে এক ওভার ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যানকেই সাজঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। তার বলে ব্যাক্তিগত ৩৩ রানে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দিয়ে প্রথম সাজঘরে ফিরেন সিকান্দার রাজা। পরে সেই ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক চিগাম্বুরা, আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেছেন ৪৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

তবে এ জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। দলীয় সংগ্রহে ৩২ রান যোগ হতেই একে একে আউট হয়েছেন ওয়ালার, জোঙ্গউই, পানিয়াঙ্গারা, ক্রেমার।

বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ৩ টি, আল-আমিন ও নাসির হোসেন ২ টি করে, মাশরাফি ও আরাফাত সানি ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে দলে ফেরা ইমরুল কায়েস খেলেছেন সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস। ক্রেমারের তালুবন্দী হওয়ার আগে ৮৯ বলের দাপুটে ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ৬ চার ও ৪ ছক্কায়। এ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি এই ম্যাচে।

সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি ও গাজী টিভি।