দীঘিপাড়া কয়লাক্ষেত্রে উৎপাদন হবে বছরে ৪ মিলিয়ন টন
জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়া কয়লা ক্ষেত্রে উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
দীঘিপাড়ার কয়লা ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হলে এখান থেকে বছরে ৪ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করছে কতৃপক্ষ। যা দিয়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা যাবে।
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রির্পোট অনুযায়ী, বড়পুকুরিয়া খনি হতে ২০০৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সাফল্যজনকভাবে ভূ-গর্ভস্থ পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদন করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে খনিটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। গত সাত বছরে কয়লা বিক্রি করে এ খনি মুনাফা করেছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পেট্রোবাংলা এ কোম্পানীটি ২০১১-২০১২, ২০১২-২০১৩ ও ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৩৯৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আয়কর দিয়ে পরপর তিন বছর জাতীয় পর্যায়ে সেরা দশ আয়কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়।
বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ খনির জন্য জমি ক্রয়, কয়লা উত্তোলনের ফলে অবনমিত ভূমি ও স্থাপনা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে ক্রয়সহ ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারণকে পূনর্বাসন এবং ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের বিক্ষোভ-আন্দোলন সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করেছে। এছাড়া প্রিফিজিবিলিটি স্টাডি, ফিজিবিলিটি স্টাডি, খনি নিমার্ণের দরপত্র আহবান থেকে শুরু করে কয়লা উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে দীর্ঘদিন জড়িত থাকায় একদল দক্ষ জনবল গড়ে উঠেছে বলে জানা যায়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ দীঘিপাড়া কোল বেসিনের ২৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মোট কয়লার পরিমাণ নির্ণয় এবং বেসিনের সেন্ট্রাল পার্টে (১০-১১ বর্গ কিমি) ভূ-গর্ভস্থ পদ্ধতি ব্যবহার করে বছরে ৪ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন খনি উন্নয়নের জন্য বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের অনুমোদন দেয়। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ ও জ্বালানি বিভাগের খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্রুরো’র মধ্যে গত ২১ অক্টোবর একটি চুক্তি স্বাক্ষর স্বাক্ষরিত হয়।
এ দিকে চুক্তি স্বাক্ষর স্বাক্ষরিত হওয়ার সাথে সাথে প্রশাসনিক অবকাঠামো ও লক্ষ্য করা যায়। খনি পার্শ্ববর্তী ধুলাউদাল নামক স্থানে আবাসন তৈরী করে ৩ শতাধিক ভূমিহীনকে পূনর্বাসন করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন বাবদ এ পর্যন্ত ১৩০ কোটি টাকার উপরে ব্যয় করা হয়েছে। আরও ৬০ কোটি টাকা দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের হাতে রয়েছে।
সূত্রমতে, চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সকল মালামালসহ চুক্তিমূল্যে কয়লা উৎপাদন করে। ঠিকাদারের সাথে চুক্তির সকল বিষয় দেখভাল করে চুক্তি সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।