হ্যাকার ফাহাদের ল্যাপটপ জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
হ্যাকার আবদুল্লাহ ফাহাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দুই দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এরই মধ্যে তার ল্যাপটপটি জব্দ করেছে পুলিশ। কম্পিউটারের ড্যাটা বিশ্লেষণ ও রিমান্ডে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফাহাদের চাঁদাবাজি সহ নানা সাইবার অপরাধের তথ্য আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এখনো নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করেন তিনি। তবে তথ্য প্রমাণে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল হ্যাক করার চেষ্টা ও চাঁদা দাবি করার সঙ্গে ফাহাদের সংশ্লিষ্টতার সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর ওই নিউজ পোর্টালটির ওয়েবসাইট হ্যাক করা হবে এমন হুমকি দিয়ে প্রথমে এক হাজার ডলার ও পরে ১ লাখ টাকা দাবি করে আবদুল্লাহ ফাহাদ। ওই দিন দুপুর থেকেই সে সাইট হ্যাক করার অব্যাহত চেষ্টা চালাতে থাকে এবং একের পর এক ই-মেইল বার্তায় হুমকি দেয় ও চাঁদা দাবি করে।
বাংলানিউজের মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৭ অক্টোবর আবদুল্লাহ ফাহাদকে আটক করে র্যাব-৪ এর একটি দল। পরে তাকে ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। আইসিটি অ্যাক্টে দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায় এবং ২৮ অক্টোবর মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে। আবদুল্লাহ ফাহাদের কাছ থেকে হ্যাকিং সংক্রান্ত তথ্য আদায়ের লক্ষ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার রিমান্ডের প্রথম দিনে পুলিশ ফাহাদের ল্যাপটপ জব্দ করে। হ্যাকিং সংক্রান্ত তথ্য ছাড়াও সাইবার জগতে আরও নানা অপরাধমূলক কাজে ফাহাদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ।
দৈনিক কালের কণ্ঠ হ্যাক করার সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে আবদুল্লাহ ফাহাদের বিরুদ্ধে। তাছাড়া একটি গোয়েন্দা সংস্থার পিসি হ্যাক করার ঘোষণা দিয়ে তার একটি ব্লগপোস্টও পুলিশের হাতে রয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবদুল্লাহ ফাহাদ। তার বাবা একটি সশস্ত্র বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার পদে কর্মরত। বাংলানিউজের অভিযোগের পর বেশ কয়েকদিন নজরদারিতে রেখে র্যাবের ইন্টলিজেন্স বিভাগ নিশ্চিত করে আবদুল্লাহ ফাহাদই বাংলানিউজ ওয়েব সাইট হ্যাক করে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। এছাড়াও তার সাইবার অপরাধের বিভিন্ন তথ্যও নিশ্চিত করে র্যাব। পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করা হয়। ওই এলাকাতেই আবদুল্লাহ ফাহাদের পরিবারের সাথে বাস করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাবে সে বেশি সময় কাটাতো এমন তথ্য দিয়ে র্যাব জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব থেকেও সে হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধের কাজগুলো করে থাকতে পারে বলেও সন্দেহে রয়েছে।
র্যাবের একজন ইন্টলিজেন্স সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকার কারণে আবদুল্লাহ ফাহাদের পক্ষে তা ব্যবহার করা অসম্ভব কিছু নয়। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানান তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।