বারবার একই ভুলে হাবিবুল ক্ষুব্ধ
বারবার একই ভুলে হাবিবুল বাশার ক্ষুব্ধ। ব্যাটসম্যানদের একই ভুলের পুনরাবৃত্তি চোখের সামনে দেখছেন। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে, টিম মিটিংয়ে ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবু শোধরাচ্ছে না কেউ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের একের পর এক ব্যর্থতার এটাই সবচেয়ে বড় কারণ মনে করেন দলের ম্যানেজার ও নির্বাচক হাবিবুল।
প্রিটোরিয়ার আইরিন ভিলেজার্স ক্লাব মাঠে নর্দান টাইটানসের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ম্যাচে হারের পর শুভাগত হোম চৌধুরীর দল হেরেছে টাইটানসের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচেও। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুঠোফোনে এই দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন নিয়েই প্রশ্ন তুললেন হাবিবুল, ‘ব্যাটসম্যানরা স্ট্রোক খেলছে, এটা খুবই ভালো...কারণ এখানে স্ট্রোক খেলার মতোই উইকেট। কিন্তু ভালো বলকে তো সমীহ করতে হবে! প্রয়োজনে বল ছাড়তে হবে। সবাই ৩০-৪০ করে আউট হয়ে যাচ্ছে, এটা দলকে কোনোভাবেই সাহায্য করছে না। একই ভুল তারা বারবার করছে। কারও মধ্যে ভুল শোধরানোর চেষ্টাটাই নেই।’
জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে আগামী ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জিম্বাবুয়ে যাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চলতি সফর মূলত সেই জিম্বাবুয়ে সিরিজেরই প্রস্তুতিপর্ব। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রস্তুতি কতটা হচ্ছে, তা নিয়েই এখন সন্দিহান হাবিবুল, ‘ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলছে, তাতে তারা কিছু শিখছে বলে মনে হচ্ছে না।’ এমনকি ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও নাকি কারও মধ্যে দেখছেন না জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, ‘ছেলেদের মধ্যে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কোনো চেষ্টা দেখছি না। বারবার একই ভুল করে যাচ্ছে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে স্ট্রোক খেলছে। স্ট্রোক খেললে সমস্যা নেই, কিন্তু ভালো বলে তো টিকেও থাকতে হবে! সেটাই ওরা বুঝতে পারছে না।’
খুব বেশি কারিকুরির দরকার পড়ে না, দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বান্ধব উইকেটে শুধু ভালো জায়গায় বল ফেলেই ব্যাটসম্যানদের যমদূত হয়ে উঠতে পারেন একজন পেসার। কিন্তু বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটসম্যানরা নাকি এতটাই ‘অকুতোভয়’ যে, ব্যাট হাতে সবুজ উইকেটের স্বাভাবিক চরিত্রটাও ভুলে যাচ্ছেন! ‘এখানে যেরকম ঘাসের উইকেট, তাতে বোলারদের জন্য বাড়তি কিছু করা লাগে না। ভালো জায়গায় বল ফেললেই হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেই সতর্কতাটা দেখছি না’-বলছিলেন হাবিবুল। হতাশা আছে বোলিং নিয়েও, ‘নতুন বলে আমাদের ছেলেরা ভালোই বল করছে। কিন্তু এই কন্ডিশনে পুরনো বলের বোলিংটা আয়ত্ত করতে পারছে না।’
আগের সূচি অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও দুটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। কিন্তু হাবিবুল জানালেন, সূচিতে যোগ হয়েছে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচও, ‘আমরা আরও তিনটি ম্যাচ খেলব। মঙ্গলবার স্থানীয় একাডেমি দলের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ম্যাচ, বুধবার টাইটানসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও তার পরদিন প্রাদেশিক দলের বিপক্ষে শেষ ৫০ ওভারের ম্যাচ।’
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে জিম্বাবুয়ে যেতে এই তিন ম্যাচেই জয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু আগের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স সে আশার কথাটা খুব জোরালো করতে পারছে না হাবিবুলের কন্ঠে। তাঁর মূল চাওয়া সে তুলনায় খুবই মৌলিক, ‘জয় তো অবশ্যই চাই। আমি এ-ও চাইব, এই তিন ম্যাচে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বেশ কয়েকটা বড় ইনিংস খেলে। তবে সবার আগে চাইব, সবাই যেন দলের চাহিদা বুঝে খেলে। তাদের খেলায় যেন ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে পারার ছাপ দেখি।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।