স্পিডব্রেকারের দাবিতে কালশীতে বিক্ষোভ
স্পিডব্রেকারের দাবিতে রাজধানীর কালশী এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। কালশীতে বুধবার বাসচাপায় শারমিন আক্তার (১৮) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
এর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিয়াদ আহমেদ জানান, স্পিডব্রেকারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে তারা বেশিক্ষণ থাকবেন না। তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। দ্রুত সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) কুদরত-ই-খুদা জানান, বুধবার দ্রুতগতির যাত্রীবাহী একটি বাসের ধাক্কায় এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক কালশী সড়কটি অবরোধ করেন স্থানীয়রা। প্রায় দুই ঘণ্টা ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তা স্বাভাবিক হয়।
ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মেজবাউল হক জানান, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে শারমিন এবার এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়েছিলেন। সরকারি তিতুমীর কলেজের অনার্সে ভর্তি পরীক্ষার ফরম জমা দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ক্যান্টনমেন্টের মানিকদির বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনায় শিকার হন তিনি। সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শারমিনের বাসা পশ্চিম মানিকদিতে। গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
কালশীর স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল আশিক জানান, এ সড়কে বাসগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। সড়কে স্পিডব্রেকার না থাকায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। দুর্ঘটনা রোধে এ সড়কে স্পিডব্রেকার প্রয়োজন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।