বাংলাদেশে ৫৪ লাখ নতুন চাকরির সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২২ অক্টোবর, ২০১৫
প্রিন্টঅঅ-অ+
চীনের বর্তমান পোশাক রপ্তানির যদি ২০ ভাগ বাংলাদেশ দখল করতে পারে, তাহলে দেশের রপ্তানি দ্বিগুণ হবে। এমনটি করতে পারলে বাংলাদেশে ৫৪ লাখ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়াও এক কোটি ৩৫ লাখ পরোক্ষ নতুন চাকরির সুযোগ হবে।
গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের ‘ডায়াগনস্টিক ট্রেড ইন্টিগ্রেশন স্টাডি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে। কিন্তু আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রতিকূলতার কারণে বাংলাদেশে অধিক ও ভালো চাকরির সুযোগ তৈরি করা যাচ্ছে না। এই তরুণদের রপ্তানিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির উপযোগী করে তুলতে হবে। এ জন্য যথাযথ শিক্ষাগত ভিত্তি ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে ওই প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানিকে ফলপ্রসূ করতে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের করতে বলা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জোহানেস জুট্ট বলেন,‘জিডিপি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশের উন্নত বাজারগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে হবে।’১৯৯৫ থেকে ২০১২ এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে। পোশাকশিল্পের রপ্তানি বাড়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। চীনের পরই বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। নতুন বাজার সৃষ্টি করতে ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চীন, ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো উচিত বলে ওই প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ করেছে। বিশেষ করে, ২০০৯ সাল থেকে পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রশংসনীয়। বর্তমানে পোশাক খাতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ খাতে চীন প্রথম অবস্থানে রয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রম বাজার সম্প্রসারণের খুব সুযোগ রয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ তৈরির পরামর্শ দিয়েছে এই দাতা সংস্থাটি।
অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন সম্পর্কিত সভায় ২৩টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইকোনমিক জোনের মধ্যে চীন, জাপান ও ভারতকে খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী, বিশ্ব ব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট সঞ্চয় কাথুরিয়া, এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।