শতাব্দির সবচেয়ে ব্যয়বহুল ডিভোর্স
বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন, কিন্তু দেনা-পাওনা নিয়ে বনিবনা হচ্ছিল না। এখন তারা জানিয়েছেন, সমঝোতা হয়েছে। এই সমঝোতার মূল্য কত, তা জানানো না হলেও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বলছে, এটাই শতাব্দীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়ে বিচ্ছেদ।
তারা হলেন রুশ ধনকুবের দিমিত্রি রিবলভলেভ ও তার সাবেক স্ত্রী এলেনা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আমাদের বিচ্ছেদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পেরেছি। আর এর মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের চলা আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটল।
এই দম্পতি বিয়ে করেন সাইপ্রাসে। ২৩ বছরের সংসারের ইতি টানতে তাদের আইনি বিচ্ছেদের যুদ্ধের শুরু ২০০৮ সালে। তারপর থেকে তা ঝুলছিল।
২০১৪ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত রায় দেয় এলেনার পক্ষে। ওই রায়ে তাকে ৪০০ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন (৪২০ কোটি) ডলার দিতে বলা হয় রিবলভলেভকে, যা ওই ধনকুবেরের মোট সম্পদের প্রায় অর্ধেক।
তখনই ব্যয়বহুল বিচ্ছেদ হিসেবে এটি গণমাধ্যমে আলোচনায় এসেছিল, তারপর প্রতিটি অগ্রগতির খবরও রাখতে থাকেন সাংবাদিকরা।
তবে ২০১৪ সালের রায় ঘুরে যায় চলতি বছরের জুনে। জেনেভার একটি আপিল আদালত এ বিচ্ছেদের অর্থনৈতিক অঙ্কটি বেশ কমিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সাগর তীরে দিমিত্রি রিবলভলেভের প্রাসাদোপম একটি বাড়ি
আপিল আদালত রায়ে ফ্রেঞ্চ ফুটবল ক্লাব এএস মোনাকোর মালিক রিবলভলেভের বিচ্ছেদের অঙ্কটি ৫৬৪ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ ও দুটি রিয়েল এস্টেট হোল্ডিংয়ে নামিয়ে আনেন।
এই রায়ে বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতে যান এলেনা।
তার যুক্তি, ২০০৪ সালে রিবলভলেভ তার বেশকিছু শেয়ার একটি ট্রাস্টের নামে সরিয়ে নেন এবং চার বছর পর তা বিশাল অঙ্কের লাভে বিক্রি করে দেন। আর আপিল আদালতের রায়ে রিবলভলেভের সম্পদের পরিমাণ নির্ণয়ে ২০০৫ সালের হিসাব ধরা হয়েছে, ২০০৮ এর নয়।
সর্বোচ্চ আদালতে এলেনার আবেদনের শুনানির দিনও ঠিক হয়েছিল। তবে তার আগেই সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা করে নেন রিবলভলেভ। ফলে আর সে শুনানির প্রয়োজন হচ্ছে না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।