ঝালকাঠির নতুনচরে মাদক ও দেহব্যবসা রমরমা
মাদকদ্রব্যসহ সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা। তার এ ঘোষণার কথা মিডিয়ার সাংবাদিকদের মাধ্যমে ঝালকাঠিবাসী জানতে পারে। জনস্বার্থেই পুলিশ প্রশাসনের এই সামাজিক উদ্যেগ নেওয়ায় পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সমাজের সর্বস্তরের জনগণ।
কিন্তু ঝালকাঠির নতুনচর এলাকায় পুলিশ সুপারের ঘোষণাকে উপেক্ষা করে একটি মহল শুরু করেছে মাদক ও দেহব্যবসা। এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ড এলাকার সাধারণ মানুষ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই এসব বন্ধে গতকাল এলাকার প্রায় শতাধিক জনসাধারণের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন পুলিশ সুপার বরাবর দেওয়া হয়েছে।
এলাকার নানা সমস্যাগুলোর কথা জানালেন নতুনচর এলাকার একাধিক মুরব্বী ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই পরিবেশে আমরা চিন্তিত আমাদের স্ত্রী ও কন্যাসহ সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে। তাই বাধ্য হয়ে একত্রিতভাবে বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবগত করেছি। পুলিশ সুপার এব্যাপারে দৃষ্ঠান্ত মূলক ব্যবস্থা নিবেন বলে আশাবাদ এলাকাবাসির।
নতুনচর এলাকাবসীর পক্ষ থেকে এলাকার কাউন্সিলর মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত মাদকদ্রব্য ও দেহ ব্যাবসা প্রতিরোধ প্রসঙ্গে গতকালের আবেদনে উল্লেখ করেন, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের খেয়াঘাট সংলগ্ন নতুন চরের বাসিন্দা মোঃ সোহাগ ও তার পরিবার মাদকসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছে না। তারা কোন প্রতিবাদ বাধা মানছে না। তাদের বাসার সামনের মসজিদ কমিটি এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করেও সুফল পায়নি। এতে এলাকার অনেক ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই আমরা তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ সুপারের কাছে সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।