আগামি ১৯ অক্টোবর শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সাতক্ষীরা জেলায় এ বছর ৫৬২টি পূজা মন্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিমা শিল্পীরা শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা রং আর সাজসজ্জ্বার কাজে। এ বছর জেলায় গত বছরের থেকে ১৮টি বেশি পূজা মন্ডপে পুজা অনুষ্টিত হচ্ছে।

এদিকে, গত ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কর্মকারপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের ১৫টি প্রতিমা ভাংচুর করে দূর্বত্তরা। এ নিয়ে ৯ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

অন্যদিকে, এ পূজা উৎযাপনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা কেন্দ্রীক পূজা উৎযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।

জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের নেতা অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, আশাশুনির প্রতাপনগরে একটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ছাড়া জেলার অন্য কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, জেলায় ৫৬২টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৯২টি কম ঝুঁকিপূর্ণ ১৪২টি ও সাধারণ হিসেবে ৩২৮টি মন্ডপকে চিহিৃত করা হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলায় মধ্যে আশাশুনিতে ১০০, শ্যামনগর ৬৪, কলিগঞ্জ উপজেলায় ৫২, দেবহাট উপজেলায় ২০, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১০৪, কলারোয়ায় ৪২ ও তালা উপজেলায় ১৮০টি পূর্জা মন্ডপে এ শারদীয়া দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির জানান, দূর্গাপুজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডবে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ, আনছার, পূজা কমিটি ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।