- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- গৃহবধূ সিফাতকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়
গৃহবধূ সিফাতকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়
মাথায় আঘাতের ফলে রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাতের। আদালতের আদেশে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের তিন সদস্যের বোর্ড এই প্রতিবেদন দিয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে পাঠানো প্রতিবেদন এরই মধ্যে মামলার বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা রাজশাহী সিআইডি হাতে পেয়েছে।
সিফাতের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ''কবর থেকে উত্তোলন করে সিফাতের মৃতদেহ পরীক্ষার পর আমরা দেখেছি, লাশের মাথার পেছনে ডান দিক থেকে বাম দিক পর্যন্ত বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন এবং মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড।''
এর আগে সিফাত হত্যা মামলায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুন রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জয়ন্ত রাণী দাস সিফাতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের আদেশ দেন।
এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জুন রংপুরের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে সিফাতের লাশ উত্তোলন করে। পরদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের গঠিত তিন সদস্যের বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। রির্পোট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড নিশ্চিত হয় যে, সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ, গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর মহিষবাথান এলাকার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে তার পুত্রবধূ আড়াই বছরের এক সন্তানের জননী ওয়াহিদা সিফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ঘটনার চার দিন পর সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।