যমুনার নদীর পানি কমতে শুরু করায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শিমলা, পাঁচঠাকুরী এলাকার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ফের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। পাউবোর নদী তীর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন স্থানে গত ক’দিনে প্রায় আড়াই’শ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া শতাধিক পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি।

সরেজমিনে ভাঙ্গনের স্থানে গেলে ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে এ ভাঙন শুরু হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড’র (পাউবো) কর্মকর্তারা একবারও ভাঙ্গনের খোঁজ-খবর নেননি। এ সময় তারা বার বার ভাঙ্গনের কারণ হিসেবে পাউবো’র উদাসিনতা ও দায়িত্বে অবহেলাকেই দায়ী করেন।

গত ক’দিনে ভাঙ্গনে শিমলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়, খারুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পূর্বদিকে শিমলা স্পার বর্তমানে ভাঙ্গন ঝুকির মধ্যে পড়েছে। পাউবো  ২/৩ দিন হলো থেকে লোক দেখানো বালির বস্তা নিক্ষেপ করলেও তা কোন কাজেই আসছে না। গত বছর এ এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলেও যমুনার গতিপথ পরিবর্তনে পাউবোর থেকে ২টি ড্রেজার আনা হলেও তা কোন কাজেই আসেনি বলে স্থানীয়দের দাবি। এলাকাবাসি দ্রুত ১৬ নং প্যাকেজের নদী তীর রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ দ্রুত শুরুর দাবি জানিয়েছেন। 

কাজের গাফলাতি ও দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে পাউবোর দায়িত্ব উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন ঠেকাতে আপাতত বালির বস্তা নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং পানি কমলেই মুল কাজ শুরু করা হবে। 

এ বিষয়ে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, জেলার চৌহালী উপজেলার মত এ অঞ্চলে বড় ধরনের ভাঙ্গন বিপর্যয় শুরুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শিমলা স্পার আলাদা হবার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব আশঙ্কায় আমরাও ভয়ের মধ্যে আছি। আগামীতে নকশা শাখার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ব্যাপকভাবে তীর রক্ষার কাজ হাতে নিতে হবে।