সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে এ সংক্রান্ত আইন পাসের পরপরই এ হামলা শুরু করল রাশিয়া। হামলার প্রথম দিন গতকাল রাশিয়ার যুদ্ধ বিমানগুলো আইএসের ঘাঁটি বলে পরিচিত হামা প্রদেশে হামলা চালায়। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান থেকে হামলা চালানো হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিকভাবে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। 

তবে পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালালেও যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশল থেকে সরে আসছে না। তারা মিত্রদের নিয়ে আলাদাভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে। 

এদিকে রাশিয়ার এ হামলার পর দেশটির ক্ষমতায়ন নিয়ে নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া গেছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র হিসেবে পরিচিত রাশিয়া। দেশটি চায় বাসার ক্ষমতায় থাকুক। আবার যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা আসাদকে ক্ষমতা ছাড়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে। আবার আইএস জঙ্গিরাও আসাদের বিরোধী। আসাদের পদত্যাগ চেয়ে গত চার বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। হামলার ব্যাপারে রুশ কর্মকর্তা সার্গেই ইভানভ বলেন, সিরিয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলো। 

তবে রাশিয়া স্থল হামলা নয় বরং শুধু বিমান হামলায় অংশ নেবে বলে জানান ইভানভ। এর আগে সিরিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার কাছে সামরিক সহায়তা কামনা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই এই ধরনের উদ্যোগ নিল মস্কো। 

ইভানভ জানান, রুশ নাগরিকদের স্বার্থেই তার দেশ এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। তার মতে, কয়েক হাজার রুশ নাগরিক আইএসে যোগ দিয়েছে। তারা রাশিয়ায় ফিরলে তা দেশটির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। 

এএফপি