শিশুরা খাচ্ছে ফেসবুক!
শিশুদের হাতে হাতে ফেসবুক। প্যাকেট খুলছে আর একে একে কুড়মুড় চিবিয়ে খাচ্ছে! অবাক হচ্ছেন? এভাবেই ফেসবুক স্ন্যাকস খাচ্ছে পাকিস্তানের শিশুরা।
ডননিউজের রবিবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় দারুণ জনপ্রিয় স্ন্যাকসে পরিণত হয়েছে ‘ফেসবুক’। তবে এই ‘ফেসবুক ব্যবসা’র খবর জানে না আসল ফেসবুক। হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এর কর্তৃপক্ষকে থোড়াই কেয়ার করে চলছে এই ব্যবসা।
পাকিস্তানী স্থানীয় প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা কৌশলও দারুণ— ‘লাইক, শেয়ার এ্যান্ড ইট’। ব্যস, এই স্লোগানেই মাতোয়ারা শিশু-কিশোররা। শুধু তাই নয় তরুণরাও হরদম খাচ্ছেন এই চিপস।
স্ন্যাকসটির প্রস্তুতকারক আজমল খান বলেন, ‘তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ফেসবুকের জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে আমরা এই নামে আমাদের স্ন্যাকসের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেই। এই পরিকল্পনা দারুণ কাজে দিয়েছে এবং আমাদের পণ্যের বিক্রি এখন আকাশছোঁয়া।’
শিক্ষার্থী আবিদ আলী বলেন, ‘আমরা মজা করে এটি (ফেসবুক চিপস) কিনি এবং প্রায়ই ফেসবুক ব্যবহারের সময় তা খেয়ে থাকি।’
ফেসবুক ওয়েবসাইটের মতো স্ন্যাকসও অনেক জনপ্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ফেসবুক চিপস দ্রুত জনপ্রিয় হওয়ার আরেকটি কারণ আছে বলে মনে করেন স্থানীয় দোকানদার সুলাইমান খান। সেটি হল কমমূল্য। বিনামূল্যে ব্যবহৃত ফেসবুক ওয়েবসাইটের মতো চিপসটি বিনামূল্যে বিতরণ করা না হলেও এর মূল্য অন্য স্ন্যাকসগুলোর তুলনায় বেশ কম। স্থানীয় মুদ্রায় তা মাত্র ৫ রুপি।
পাকিস্তানের উপজাতীয় অঞ্চলটিতে স্ন্যাকসের এ ধরনের নামকরণ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগা অঞ্চলটিতে ‘লোডশেডিং’ নামে স্ন্যাকস রয়েছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নিয়মিত মার্কিন ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়ে থাকে। ড্রোনের এই নিয়মিত ‘ভ্রমণ’কে মাথায় রেখে বাজারে ছাড়া হয়েছে ‘ড্রোন বাবা’ নামের স্ন্যাকস।
এ ছাড়া যাদের সময় কিছুতেই কাটছে না তাদের জন্য রয়েছে ‘টাইম পাস’ স্ন্যাকস।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।