বঙ্গোপসাগরে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নৌ মহড়া
সমুদ্রে কৌশলগত ভাবে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য পঞ্চমবারের মতো যৌথ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
দুই দেশের এই যৌথ নৌ মহড়া আজ চট্টগ্রামে শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ এই মহড়ায় অংশ নেবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমোডোর মেজবাউল আজিম জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এই যৌথ মহড়ায় বিভিন্ন নৌ-কৌশল, সমুদ্রে অনুসন্ধান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, উদ্ধার অভিযান এবং সমর আইনের ব্যবহার নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ হবে।
তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি শুধু একটি মহড়াই নয়। এর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কোন উদ্দেশ্য রয়েছে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সামরিকভাবে সমুদ্রে চীন ক্রমাগত শক্তিশালী হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। সেজন্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশল বাড়াতে চায়। সেজন্য বঙ্গোপসাগর তাদের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর রিয়াল অ্যাডমিরাল চার্লস উইলিয়াম।
এই মহড়ার সাথে চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কোন সম্পর্ক আছে কিনা, এমন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল চার্লস উইলিয়াম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বঙ্গোপসাগর কৌশলগত ভাবে সমসময়েই গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগর দিয়ে বাণিজ্যের সুবিধা, নৌ-চলাচল, এবং নিরাপদ সামুদ্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়ার সঙ্গে চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কোন সম্পর্ক নেই, কারণ এটি গত পাঁচ বছরে ধরেই চলছে।
সামরিক কৌশলগত বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-কর্মকর্তারা স্পষ্ট কিছু না বললেও, বছর খানেক আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল, তারা তাদের সামরিক কৌশলে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যার অংশ হিসাবে ২০২০ সালের মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীর ৬০শতাংশ ফ্লিট এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা অনানুষ্ঠানিক ভাবে জানেন, সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই মহড়া ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মেজবাউল আজিম বলেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সাথেই যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী নিয়মিতভাবে এ ধরণের মহড়া করছে। এ সকল দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর অন্যতম।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।