ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত
ট্যাক্সিচালক রমেশের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে আদালতে। ২৬ সেপ্টেম্বর আদালত এই রায় প্রকাশ করেন। ফরেন্সিক রিপোর্টের তথ্যের জোরেই এ যাত্রা বেঁচে গেলেন রমেশ। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জসলিন কৌরে।
উল্লেখ্য, রমেশ দীর্ঘ এক দশক ধরে ট্যাক্সি চালাচ্ছে। তবে সে দিন পর্যন্ত তাঁর নামে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের কোনও অভিযোগ হয়নি। সে দিন ট্যাক্সিতে ওঠার পর সুনীতা (নাম পরিবর্তিত) তাঁকে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় নিয়ে যেতে বলেন। তখন রাত অনেকটাই। কথা বলে ভাড়া ঠিক হয় ৫০০ টাকা। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর সুনীতা ট্যাক্সির পেছনের সিটেই বসে থাকেন। রমেশ তাঁকে ভাড়াটি দিতে বলেন। সে সময়ই রেগে যান সুনীতা। তিনি বলেন, যদি ভাড়া চাওয়া হয়, তবে ধর্ষণের অভিযোগে ফাসিয়ে দেবেন রমেশকে। এ নিয়ে শুরু হয় বচসা। বচসা চলাকালীন সুনীতা রমেশের হাতের আঙুলও কামড়ে দেন।
এর মধ্যেই পুলিশের একটি পেট্রোল ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সে সময় সুনীতা চিত্কার করে রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেতে থাকেন। স্বভাবতই ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ রমেশকে গ্রেপ্তার করে। সঙ্গে সুনীতাকেও নয়ে যাওয়া হয় ফরেন্সিক মেডিক্যাল টেস্টের জন্য। তবে এখানেই বেশ খানিকটা কাঁচা কাজ করে পেলেন তিনি। মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলে না। ফরেন্সিক দলও ট্যাক্সিতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও এমন কোনও প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি। উপরন্তু পুলিশের কাছে বয়ান লেখানোর সময় নানা ভুল তথ্য দিচ্ছিলেন সুনীতা। একবার বলেন, ধর্ষণের পর পেছনের সিটে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। এক মহিলা কনস্টেবলের সাহায্যে তিনি পোশাক পরেন। কিন্তু এ সব কিছুই ঘটেনি।
পুলিশের বয়ানের সঙ্গে তা কিছুই মেলেনি। ফলে সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। তবে রমেশের বয়ানের সঙ্গে ঘটনা প্রায় মিলে যায়। আদালতে মামলা চলাকালীন সুনীতাকে মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।