সৌদি সরকারকে দুষলেন প্রত্যক্ষদর্শী হাজিরা
মিনায় পদদলিত হয়ে সাত শতাধিক হাজির মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির সরকারকে দায়ী করেছেন। বৃহস্পতিবার বড় জামারাকে (বড় শয়তান) পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে অন্তত ৭১৭ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮৬৩ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী লিবিয়ার নাগরিক আহমেদ আবু বকর বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘সেখানে অত্যন্ত ভিড় ছিল। পুলিশ হঠাৎ করে একটি ছাড়া হজ ক্যাম্পের সবগুলো প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়।’
তবে তিনি ও তার মা পদদলিত হওয়া থেকে থেকে রক্ষা পান। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশদেরকে অনভিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে মিনায় হাজিদের মৃত্যুর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। স্টেট নিউজ এজেন্সি ইরনাকে তিনি বলেন, ‘এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হাজিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী সৌদি কর্তৃপক্ষ।’ পদদলিত হয়ে ইরানের কমপক্ষে ৯০ জন হাজির মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি বলেন, মিনা থেকে জামারায় পাথর ছোড়ার জন্য লাখো হাজি চলেন কাতারে কাতার। হঠাৎ দুটি সড়কের সংযোগস্থল কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। কিন্তু পেছন থেকে একই গতিতে আসা হাজিরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাই তাঁরা সামনেই অগ্রসর হতে থাকেন। ফলে মাঝখানের ভিড়ে চাপা পড়েন ও পদদলিত হয় শত শত মানুষ। সামনে বা পেছনে যাওয়ার কোনো উপায় না থাকায় সেখানকার পরিণতি ছিল শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাওয়া।
এদিকে নিহতের সংখ্যা ১৫০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে সৌদি বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইরানের আলমানার টেলিভিশনের ওয়েব সাইট।
তবে এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সৌদি বাদশাহ সালমান একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ দুর্ঘটনার জন্য হাজিদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, হাজিরা নিয়ম না মানাই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।